'আমি যতদূর পড়েছি, তাতে ইসলাম গুপ্তহত্যা সমর্থন করে না। এমনকি মার্কস-লেনিন-স্ট্যালিন, যারা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন, তারাও গুপ্তহত্যা সমর্থন করেননি। জঙ্গিরা নিশ্চিতভাবেই ভুল পথে হেঁটেছে। এখন এই রায়ের মাধ্যমে যদি তাদের ভেতর যুক্তিতর্ক, বিচার-বিবেচনার বোধ প্রতিষ্ঠিত হয়- সেটাই হবে বড় পাওয়া।' জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সমকালকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে নাকি দীপনকে হত্যা করা হয়েছে! আসামিদের আমি চিনি না, জানি না। তারা তো গোপনে কাজ করে। তাদের শনাক্ত করা কঠিন। চাক্ষুষ সাক্ষী পাওয়া কঠিন। তারপরও তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা অপরাধীদের চিহ্নিত করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন, আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন। তাদের কর্মপ্রক্রিয়া নিশ্চয়ই সঠিক হয়েছে। আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। বিচারক সবার কথা শুনেছেন, বুঝেছেন এবং নিশ্চিত হয়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জন পলাতক, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে, বিচারের ধারায় এগিয়েছে। এটা রাষ্ট্রের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।'
দীপনের মা ফরিদা প্রধান সমকালকে বলেন, 'আমার ছেলেকে তো আর কোনোভাবেই ফিরে পাব না। সেই কষ্ট আমার চিরকালের। দীপন নেই এটা এখনও ভাবতে পারি না। আমাদের নিঃস্ব করে দিয়ে সে চলে গেছে চিরকালের জন্য। একজন নিরপরাধ মানুষকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তবু এটুকু সান্ত্বনা যে, অপরাধীদের সাজার রায় হয়েছে। এখন সেই সাজা কার্যকর হোক- এটাই চাওয়া।'



বিষয় : দীপনের বাবার প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন