ডিজিটাল জালিয়াতি এবং অবৈধ উপায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়ার ঘটনায় সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ। একই সঙ্গে দু'জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না- এর কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জানানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অধিভুক্ত কলেজের ১৪৭ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এ সুপারিশ করা হয়। পরিষদের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৮ জনকে আগেই আজীবন বহিস্কার করা হয়েছে। জালিয়াতির ঘটনায় এ নিয়ে ৮৫ জন শিক্ষার্থী আজীবন বহিস্কার হলেন।