- বাংলাদেশ
- অধিদপ্তর শুধু খাতা-কলমে কার্যক্রমে পরিদপ্তর
রেজিস্ট্রেশন বিভাগ
অধিদপ্তর শুধু খাতা-কলমে কার্যক্রমে পরিদপ্তর
নিয়োগ বিধিমালাসহ অন্যান্য কর্মপরিধি চূড়ান্ত হয়নি তিন বছরেও

আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন পরিদপ্তর (রেজিস্ট্রেশন বিভাগ) পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে উন্নীত করা হলেও কার্যক্রমে দৃশ্যমান বাস্তবায়ন নেই। নিয়োগ বিধিমালাসহ অন্যান্য কর্মপরিধি চূড়ান্ত না হওয়ায় গত তিন বছরেও নিবন্ধন অধিদপ্তরে সৃজন করা ৪৯১টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া যায়নি। ফলে খাতা-কলমে অধিদপ্তর হলেও কাজ চলছে সেই পরিদপ্তরেরই।
জনগণের সেবার মান বৃদ্ধি এবং জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রাচীনতম নিবন্ধন পরিদপ্তরকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়। সৃজন করা হয় কর্মকর্তাসহ ৪৯১টি পদ। কিন্তু গত তিন বছরেও নিয়োগ বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। এ নিয়ে নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের (আইজেআর) পদমর্যাদা অতিরিক্ত সচিব হিসেবে উন্নীত হবে। সেখানে ছয়জন ডিআইজেআর, ছয়জন এআইজেআর ও একজন অতিরিক্ত আইজেআর থাকবেন। এ ছাড়া গাড়ি, জনবল নিয়োগ, স্থান সংকুলানসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হবে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ক্যাডার। বর্তমানে পাঁচজন আইআরও রয়েছেন এবং আগের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলছে।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের কাজ শুরু হলে প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন এবং কাজের প্রতি সংশ্নিষ্টদের আগ্রহ আরও বাড়বে। বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে এ বিভাগের আধুনিকায়ন ছিল দীর্ঘদিনের দাবি। সারাদেশে বর্তমানে ৫৮ জন জেলা রেজিস্ট্রার এবং ৪০৭ জন সাব-রেজিস্ট্রার কর্মরত। প্রতিটি অফিসে কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজন। নকলনবিশদের সংখ্যা ১৮ হাজার। দলিল লেখক রয়েছেন ৩০ সহস্রাধিক।
নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১১ সালে সাব-রেজিস্ট্রারদের ক্যাডারভুক্ত করা এবং নিবন্ধন পরিদপ্তরকে পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। আইন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত ফাইলটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি নিবন্ধন পরিদপ্তর পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। এ অধিদপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি অর্গানোগ্রামও প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নিয়োগ বিধিমালা না করায় এই অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পুরোপুরি কাজ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ২০১৯ সালে অধিদপ্তরের জন্য ৬৬টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলেও নানা অজুহাতে অর্থ মন্ত্রণালয় তা আটকে দেয়।
জানা গেছে, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করেছে।
খুব শিগগিরই প্রণীত খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হবে। পরে সেখান থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলে পিএসসিতে পাঠানো হবে। এরপর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অবসানের জন্য অপেক্ষা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক সমকালকে বলেন, নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এটা সম্পন্ন হলেই সৃজন করা পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ রেজিস্ট্র্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, মোটামুটিভাবে একটি নিয়োগ বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, নিয়োগ বিধিমালা বাস্তবায়ন করা হলে অধিদপ্তরের এমএলএসএস থেকে আইজেআর পর্যন্ত সবার পদমর্যাদা বিধিমালা অনুযায়ী উন্নীত হবে।
জিয়াউল হক আরও বলেন, এ বিভাগটি যুগ যুগ ধরে অবহেলিত ছিল। আমাদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক খুবই আন্তরিক। তিনিই প্রাচীন এ বিভাগকে সংস্কার করেছেন। আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজড করেছেন। এখন আর বালাম বইয়ের সংকট নেই, নকলনবিশদের পারিশ্রমিক আটকে থাকে না। নতুন জনবল নিয়োগ হলে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কাজের গতি, লোকবল, রাজস্ব বাড়বে এবং সর্বোপরি জনগণ আরও সেবা পাবে।
১৯০৮ সালে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারদের পেশাগত মানোন্নয়ন এবং ভাবমূর্তি বাড়াতে অতীতে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ ব্যাপারে নানা উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে শত বছর ধরে অবহেলিত ও ঘুণে ধরা রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসে অনেকটা গতি ফিরে এসেছে, কমেছে জনদুর্ভোগ। জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের প্রশাসনিক কাঠামো, নিয়মকানুন বা রেওয়াজ। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েল, বিধিমালাসহ ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোরও পরিকল্পনা নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
জনগণের সেবার মান বৃদ্ধি এবং জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রাচীনতম নিবন্ধন পরিদপ্তরকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়। সৃজন করা হয় কর্মকর্তাসহ ৪৯১টি পদ। কিন্তু গত তিন বছরেও নিয়োগ বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। এ নিয়ে নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের (আইজেআর) পদমর্যাদা অতিরিক্ত সচিব হিসেবে উন্নীত হবে। সেখানে ছয়জন ডিআইজেআর, ছয়জন এআইজেআর ও একজন অতিরিক্ত আইজেআর থাকবেন। এ ছাড়া গাড়ি, জনবল নিয়োগ, স্থান সংকুলানসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হবে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ক্যাডার। বর্তমানে পাঁচজন আইআরও রয়েছেন এবং আগের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলছে।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের কাজ শুরু হলে প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন এবং কাজের প্রতি সংশ্নিষ্টদের আগ্রহ আরও বাড়বে। বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে এ বিভাগের আধুনিকায়ন ছিল দীর্ঘদিনের দাবি। সারাদেশে বর্তমানে ৫৮ জন জেলা রেজিস্ট্রার এবং ৪০৭ জন সাব-রেজিস্ট্রার কর্মরত। প্রতিটি অফিসে কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজন। নকলনবিশদের সংখ্যা ১৮ হাজার। দলিল লেখক রয়েছেন ৩০ সহস্রাধিক।
নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১১ সালে সাব-রেজিস্ট্রারদের ক্যাডারভুক্ত করা এবং নিবন্ধন পরিদপ্তরকে পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। আইন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত ফাইলটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি নিবন্ধন পরিদপ্তর পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। এ অধিদপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি অর্গানোগ্রামও প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নিয়োগ বিধিমালা না করায় এই অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পুরোপুরি কাজ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ২০১৯ সালে অধিদপ্তরের জন্য ৬৬টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলেও নানা অজুহাতে অর্থ মন্ত্রণালয় তা আটকে দেয়।
জানা গেছে, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করেছে।
খুব শিগগিরই প্রণীত খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হবে। পরে সেখান থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলে পিএসসিতে পাঠানো হবে। এরপর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অবসানের জন্য অপেক্ষা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক সমকালকে বলেন, নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এটা সম্পন্ন হলেই সৃজন করা পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ রেজিস্ট্র্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, মোটামুটিভাবে একটি নিয়োগ বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, নিয়োগ বিধিমালা বাস্তবায়ন করা হলে অধিদপ্তরের এমএলএসএস থেকে আইজেআর পর্যন্ত সবার পদমর্যাদা বিধিমালা অনুযায়ী উন্নীত হবে।
জিয়াউল হক আরও বলেন, এ বিভাগটি যুগ যুগ ধরে অবহেলিত ছিল। আমাদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক খুবই আন্তরিক। তিনিই প্রাচীন এ বিভাগকে সংস্কার করেছেন। আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজড করেছেন। এখন আর বালাম বইয়ের সংকট নেই, নকলনবিশদের পারিশ্রমিক আটকে থাকে না। নতুন জনবল নিয়োগ হলে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কাজের গতি, লোকবল, রাজস্ব বাড়বে এবং সর্বোপরি জনগণ আরও সেবা পাবে।
১৯০৮ সালে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারদের পেশাগত মানোন্নয়ন এবং ভাবমূর্তি বাড়াতে অতীতে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ ব্যাপারে নানা উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে শত বছর ধরে অবহেলিত ও ঘুণে ধরা রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসে অনেকটা গতি ফিরে এসেছে, কমেছে জনদুর্ভোগ। জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের প্রশাসনিক কাঠামো, নিয়মকানুন বা রেওয়াজ। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েল, বিধিমালাসহ ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোরও পরিকল্পনা নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন