কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ‘দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা ১৩টি দেশের মিশন প্রধান। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা আরও বলেছেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা এবং এর প্রয়োগ নিয়ে তাদের ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

এসব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৩টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ঢাকাস্থ মিশন প্রধানরা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আইনি হেফাজতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি। মুশতাক আহমেদ ২০২০ সালের ৫ মে থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ধারায় বিচারপূর্ব আটক অবস্থায় ছিলেন। আমরা জেনেছি, বেশ কয়েকবার তাকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে এবং আটক অবস্থায় তার প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ আছে।’

প্রয়াত পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর একটি দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো ও এর প্রয়োগে আমাদের ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানের প্রতি বাধ্যবাধকতার সঙ্গে এই আইনের সামঞ্জস্য সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাব।’

বিবৃতিদাতারা হলেন, কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া প্রিফোনটেইন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইন অ্যাস্ত্রাপ পিটারসেন, ইইউর রাষ্ট্রদূত রেঞ্চে টিয়েরিংক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মারিন স্কু, জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারভেইজ, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত অ্যাসপেন রিক্টার-সেন্ডসেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।