- বাংলাদেশ
- ১৯ বছর পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল শুরু
১৯ বছর পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল শুরু

দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শনিবার মানিকগঞ্জের আরিচা প্রান্তে আরিচা-কাজিরহাট ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার বাস্তবায়নে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতকারী জনসাধারণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে উপহারস্বরূপ আরিচা-কাজিরহাট ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। খবর ইউএনবির
এ সময় সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আরিচা-কাজিরহাট ফেরি রুটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। আরিচা থেকে কাজিরহাট যেতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট, কাজিরহাট থেকে আরিচা আসতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট। একটি রো রো (বড়) ও দুটি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে এ রুটের সার্ভিস শুরু হয়েছে।
এ রুটে বড় বাসের ভাড়া ২ হাজার ৬০, ট্রাকের ভাড়া ১ হাজার ৪০০, মাইক্রোবাসের ভাড়া ১ হাজার, কার (ছোট গাড়ি) এর ভাড়া ৬৮০, মোটরসাইকেলের ভাড়া ১০০ এবং যাত্রীর ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ ঘাটসমূহ নির্মাণ, সংরক্ষণ ও মেরামত এবং যাত্রী সুবিধাদিসহ সুষ্ঠুভাবে ঘাট পরিচালনার সেবা কাজ বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক সম্পন্ন করেছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক দুই পাড়ে ফেরিঘাট নির্মাণসহ নৌপথের প্রয়োজনীয় ড্রেজিং এবং বয়া-বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃক একটি রো রো (বড়) ফেরি এবং দু’টি মিডিয়াম এ রুটে নিয়োজিত করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা জেলাসহ চার জেলার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এ নৌ-রুটটি এক সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের ৩৬ জেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ছিল। কিন্ত ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর আরিচা ঘাটের গুরুত্ব অনেক কমে যায়। ২০০২ সালে ১২ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের নৌ-রুটের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার কমানো ও যাত্রীরা দ্রুত গৌন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট চালু করা হয়। পরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় আরিচা ঘাটের গুরুত্ব কমে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়।
এতদিন সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আরিচা ট্রাক টার্মিনাল ও টার্মিনালের অফিস ঘরগুলো দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে হয়েছে। আরিচা- কাজীর হাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় কিছুটা হলেও আরিচা ঘাটের যৌবন ফিবে আসবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন