স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরের সামনে এক অনুষ্ঠানে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি এ. কে. আজাদ। 

অনুষ্ঠানে অ্যালামনাইয়ের ফেব্রুয়ারি মাসের কর্মসূচি হিসেবে শতবর্ষ উদযাপনের লোগো ও 'শিল্পীর রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অ্যালামনাইয়ের সভাপতি এ. কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, পিএসসির চেয়্যারম্যান সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়াসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্য নেতারা।

অ্যালামনাইয়ের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মার্চে 'শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার (ওয়েবিনার) আয়োজন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন উদ্বোধন এবং এ নিয়ে টেলিভিশন আলোচনার আয়োজন। শতবর্ষের মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারী অ্যালামনাইয়ের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে জুন মাসে। এ ছাড়াও একই মাসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাস জুলাইয়ে 'শতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান' ছাড়াও 'স্মৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাইয়ের অংশগ্রহণে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও অ্যালামনাইয়ের স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি ও প্রদর্শনী 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও ভাবনা' শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হবে এ মাসে।

জুলাই মাস থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড প্রদান শুরু করবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্ট গ্যালারি উদ্বোধন ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। অক্টোবর মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। নভেম্বর মাসে অ্যালামনাই মিলনমেলার প্রস্তুতি এবং আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর মিলনমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করে উপাচার্য আখতারুজ্জামান অ্যালামনাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যেও অ্যালামনাইয়ের অংশগ্রহণ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাইকে আলাদা করে দেখার কারণ নেই। বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই অ্যালামনাইর সহযোগিতায় এগিয়ে যায়। আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে যেতে হবে; সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন এ. কে আজাদ। এ সময় তিনি কর্মসূচি সফল করতে সবার সহযোগিতা চান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সহযোগিতায় বছরব্যাপী এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।