রোববার ২৯টি পৌরসভায় সাধারণ ও চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। এসব নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

ইসি সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা, ফরিদপুরের মধুখালী, রাজশাহীর পবা ও কুমিল্লার দেবিদ্বারে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হবে। এ ছাড়া এর আগে অনুষ্ঠিত সাতটি পৌরসভায় বন্ধ ঘোষিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে এবং মৃত্যুজনিত কারণে চট্টগ্রাম সিটির ৩১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে, ঝিনাইদহের শৈলকূপা পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও ভোট হবে এদিন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম সিটির ওই ওয়ার্ড ও শৈলকূপায় ভোট হবে ইভিএমে।

এ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির বাড়তি সদস্য মাঠে নেমেছেন। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রচার। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে নির্বাচনের জন্য ৩১ পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। পরে অন্য ধাপ থেকে পঞ্চমে যুক্ত হয় সৈয়দপুর পৌরসভা।

অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে যশোর পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়। ভোটগ্রহণের আগ মুহূর্তে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে ইসি। চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলরসহ সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন।

এদিকে শনিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, যেখানেই কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতায় মারা যাওয়া অবশ্যই দুঃখজনক।

যে ২৯ পৌরসভায় রোববার ভোট:

যশোরের কেশবপুর, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর, চট্টগ্রামের মিরসরাই, বারইয়ারহাট ও রাঙ্গুনিয়া; কিশোরগঞ্জের ভৈরব, জামালপুরের সদর, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর; ময়মনসিংহের নান্দাইল, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, রংপুরের হারাগাছ, রাজশাহীর দুর্গাপুর ও চারঘাট; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, বগুড়া সদর, জয়পুরহাট সদর, মাদারীপুর সদর ও শিবচর, ভোলার সদর ও চরফ্যাশন, হবিগঞ্জ সদর, চাঁদপুরের শাহরাস্তি ও মতলব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর এবং রংপুরের সৈয়দপুর পৌরসভা।

এসব পৌরসভায় ২৯১টি সাধারণ ওয়ার্ডে এক হাজার ২৭০ জন, ৯৭টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৪২ জন এবং ২৯টি মেয়র পদে ১০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬২৫টি ভোটকেন্দ্রের চার হাজার ২২৯ ভোটকক্ষে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ছয় লাখ ৯৩ হাজার ৯০ এবং নারী ভোটার সাত লাখ ১১ হাজার ৮৫০ জন।