- বাংলাদেশ
- বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতা: বিদ্যা দেবী
বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতা: বিদ্যা দেবী

ছবি: পিআইডি
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ক্যারিশম্যাটিক, সাহসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই পথ ধরে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, এটা খুবই আনন্দের।
সোমবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এ দিন সকালে দু'দিনের সফরে ঢাকা আসেন তিনি। তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যান এবং বক্তব্য দেন।
নেপালি ভাষায় বক্তব্যে বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বলেন, বাংলাদেশে এলে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর কথাই মনে আসে, তার কথাই বলতে হয়। বঙ্গবন্ধু একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা নির্মাণের যে পথ দেখিয়েছিলেন তার পথ ধরেই গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানের অনেক উন্নতি হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করা জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভৌগোলিকভাবে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে দূরত্ব বেশি নয়। এর পাশাপাশি একই ধরনের সংস্কৃতি ও প্রথা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করেছে। ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত এগিয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সফর এই সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতা দিয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নেপাল সফর করেন।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিষয় উল্লেখ করে নেপালের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি এবং এটি কমানো জরুরি। বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উভয় দেশের বাজার সুবিধা সম্প্রসারিত হলে বাণিজ্য সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। বাণিজ্য ছাড়াও কানেক্টিভিটি, ট্রানজিট, জ্বালানি, পর্যটন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানুষে মানুষে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন নেপালের রাষ্ট্রপতি।
কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট বাড়ানোসহ সৈয়দপুর থেকে নেপালের বিরাটনগরের মধ্যে ফ্লাইট চালু করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নেপালের নদীর সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের নদীর সংযোগ ঘটানো সম্ভব হলে নদীপথে উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে বলেও মত দেন তিনি।
বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নেপালের জলবিদ্যুৎ এবং বাংলাদেশের গ্যাস দুই দেশের উন্নয়নে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করতে পারে। নেপালে রেলওয়ে ট্রানজিটের জন্য রোহানপুরকে পোর্ট অব কল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নেপালের রাষ্ট্রপতি জানান, এর আগেও ব্যক্তিগত সফরে ঢাকায় এসেছেন তিনি। তবে নেপালের রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটাই তার প্রথম ঢাকা সফর।
মন্তব্য করুন