সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে এক বছরের বাণিজ্য ঘাটতি পাঁচ হাজার মিলিয়ন ডলার বা ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি পাঁচ হাজার ২০৭ মিলিয়ন ডলার। 

নেপাল ও মালদ্বীপ ছাড়া বাকি সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ভারতের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি চার হাজার ৬৯৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে সার্কভুক্ত দেশের সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে পাঁচ হাজার ২০৭ মিলিয়ন ডলার। এ সময় দেশগুলোতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে এক হাজার ২৪৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে আমদানি করেছে ছয় হাজার ৪৫৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশের আফগানিস্তানের সঙ্গে রপ্তানি ৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ৯ দশমিক ৩০ ডলার, ভুটানের সঙ্গে রপ্তানি ৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ৪০ দশমিক ৯০ ডলার, ভারতের সঙ্গে রপ্তানি ১০৯৬ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ৫৭৯৩ দশমিক ৬০ ডলার, নেপালের সঙ্গে রপ্তানি ৪৬ দশমিক ০১ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ৯ দশমিক ৫০ ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে রপ্তানি ৫০ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ৫৪৩ দশমিক ৯০ ডলার, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ৫৪ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার এবং মালদ্বীপের সঙ্গে রপ্তানি ৫ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার, আমদানি ১ দশমিক ৭০ ডলার।

কুষ্টিয়া-১ আসনের সদস্য আ. কা. ম. সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৯ হাজার ৬৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৯ হাজার ২৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।

এদিকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের আনোয়ার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি হঠাৎ করে দেশে চাল, ভোজ্যতেল, আটা, শুকনা মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এসব নিত্যপণ্যের মূল্য আগের মতো স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। ভবিষ্যতে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথাও মন্ত্রী জানান।