দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।

সংক্রমণের বৃদ্ধির মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে এই কার্যক্রম  শুরু হয়। একই সঙ্গে চলবে নিবন্ধিতদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার কাজও।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে দেশজুড়ে; এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ও উপহার মিলে এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে  বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। সমসংখ্যক মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।

তবে বর্তমানে সরকারের হাতে মজুদ আছে ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ ডোজ। ঘাটতি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৬ ডোজ। এর মধ্যেই আবার ভারত সরকার রপ্তানি স্থগিত করায় টিকা পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে বুধবার বিকেলের মধ্যে সারাদেশে টিকা পৌঁছে গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন যারা টিকা নিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার তারা সবাই দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন।

অনেকে বলেছেন, ভারত থেকে সময়মতো টিকা না এলে প্রথম ডোজ নেওয়া মানুষ বিপদে পড়বে। সুতরাং সরকারের উচিত প্রথম ডোজ বন্ধ রেখে দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা।

আবার কেউ কেউ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ভেবেচিন্তেই ওই ঘোষণা দিয়েছেন। টিকা পাওয়া নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্ধারিত সময়েই টিকা চলে আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সমকালকে বলেন, কেনা টিকার ৩০ লাখ ডোজ এপ্রিলের মধ্যে সরবরাহের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ওই টিকা পৌঁছাবে বলে আশা করা যায়।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে নির্ধারিত সময়ে টিকা না এলে পরিকল্পনা কী হবে কিংবা বিকল্প কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, টিকার বাংলাদেশে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তারাও টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে। আমরা তাদের আশ্বাসে আস্থা রাখতে চাই।

তিনি বলেন, এর পরও টিকা না এলে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। তখন কেবল দ্বিতীয় ডোজ চলবে। একই সঙ্গে টিকার বিকল্প উৎস খোঁজা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, রাশিয়া ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা কেনার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং টিকা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, এটি সাময়িক।