হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, 'স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।'

বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, 'আমি একাধিক বিয়ে করেছি। একাধিক বিয়ে করার পর কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা করবে আমার স্ত্রী। এছাড়া আমার কোন স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্কের পরিধি কতটুকু হবে, কতটুকু বাইরে জানাবো- এটা আমার ব্যক্তিগত অধিকার। কোন স্ত্রীকে কোন পরিস্থিতিতে কোন কথা দিয়ে প্রবোধ করবো, সেটিও আমার ব্যক্তিগত। ইসলামী শরিয়ায় বলা আছে- স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, খুশি করতে সীমিত পরিসরে সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে।'

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় রয়্যাল রিসোর্টে অবস্থান নেন। এ খবরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় হেফাজতের কয়েকশ' কর্মী-সমর্থক রয়্যাল রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয়। তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও ভাঙচুর করে। শনিবার রাতে মামুনুলের একাধিক টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফোনালাপে তিনি কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে জনৈক 'শহীদ ভাইয়ের ওয়াইফ' হিসেবে উল্লেখ করে স্ত্রীকে পরামর্শ দেন 'কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবা আমি সব জানি'। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী প্রসঙ্গ সারাদেশেই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। হেফাজতে ইসলামের নেতার নৈতিকতা নিয়েও ওঠে নানা প্রশ্ন

ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার মামুনুল হক ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, 'আমি একাধিক বিয়ে করেছি। এটা আমার নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার।'

তিনি দাবি করেন, ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। নিজের একাধিক বিয়ের কথা উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। চারটি বিয়ে করলে কার কী?