জলবায়ু পরিবর্তনে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন। জলবায়ু ও পরিবেশের ক্ষতির জন্য দায়ীদেরই এটি মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে হবে।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি আয়োজিত 'লিডার সামিট অন ক্লাইমেট, গ্লোবাল ক্লাইমেট ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড বাংলাদেশ :অ্যাচিভমেন্ট অ্যান্ড অপশনস' শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা উঠে আসে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও উপকমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনার হয়।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন। বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আতিক রহমান, নদী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত এবং পরিবেশ সাংবাদিক কায়সার রহমান।

সাবের হোসেন চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বকে সমন্বিতভাবে এ বিপদ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।

ড. আতিউর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ড. আতিক রহমান বলেন, যারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির জন্য দায়ী, তাদেরই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে হবে।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী হলেও আগে থেকেই উদ্যোগ নিলে তা অনেকটা কমানো সম্ভব। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের সক্রিয় হতে হবে।