- বাংলাদেশ
- ঢাকায় এল মেট্রোরেলের বগি
ঢাকায় এল মেট্রোরেলের বগি

ছবি: সংগৃহীত
মেট্রোরেলের প্রথম সেটের ছয়টি কোচ (বগি) এসেছে পৌঁছেছে ঢাকায়। বুধবার বগিগুলো নদী পথে মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ি ডিপো সংলগ্ন ঘাটে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে চারটি বগি আজ বৃহস্পতিবার ডিপোতে আনা হবে। শুক্রবার আনা দু'টি। পূর্ণ হবে প্রথম সেট।
মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তায়ননকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম, এ, এন, ছিদ্দিক সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গর্ত ৪ মার্চ জাপানের কোবে বন্দর থেকে সাগরপথে বাংলাদেশে উদ্দেশ্যে বগিগুলোবাহী জাহাজ যাত্রা করে। ৩১ মার্চ মোংলা বন্দরে খালাসের পর নদীপথে চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় আনা হয়েছে বগিগুলো। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২৩ এপ্রিল মেট্রোরেলের প্রথম সেট ঢাকার আসার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের দু'দিন আগে আনা গেছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমকালকে বলেছেন, ডিপোতে আনার পর বগিগুলোর ১৯ ধরনের পরীক্ষা করা হবে। এরপর বলা যাবে কবে নাগাদ পরীক্ষামূলক যাত্রা (ট্রায়াল রান) করা হবে। এম,এ,এন, ছিদ্দিক বলেছেন, ট্রায়াল রানের জন্য একটু সময় দিতে হবে। কবে হবে, তা বলার মতো পর্যায় এখনো আসেনি।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল থেকে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি-৬) পথে এইসব বগি। পর্যায়ক্রমে আরো চার সেট ট্রেন আসবে। সব মিলিয়ে পাঁচ সেট চলবে এই পথে। বিদ্যুৎচালিত প্রতি সেটে বগি থাকবে ছয়টি করে। বগি আনার কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৬০ ভাগ। দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশে অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়বে এমআরটি-৬ এর দৈর্ঘ্য।
ঢাকায় পাঁচটি মেট্রোরেল পথের জন্য সর্বমোট ২৪ সেট ট্রেন কেনা হবে। এগুলো নির্মাণ করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিসি। প্রকল্প পরিচালনা অনুযায়ী এমআরটি-৬ এর দ্বিতীয় সেট জুনে, তৃতীয় ও চতুর্থ সেট আগস্টে এবং পঞ্চম সেট আসবে সেপ্টেম্বরে।
প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এমআরটি-৬ এ স্টেশন থাকবে ১৭টি।
গত বছর করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ ব্যহত হলেও এবার তা হচ্ছে না বলে
জানিয়েছেন এম,এ,এন, ছিদ্দিক। তিনি সমকালকে বলেছেন, করোনার এবারের ধরণটি
মারাত্মক ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে ১০০ জনের দলের পরিবর্তে ১০ জনের দল কাজ করছে।
২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। বড় বড় কাজগুলো রাতে। লকডাউনে বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও
সমস্যা হচ্ছে না। কারণ, মেট্রোরেলের বিশেষজ্ঞরা আসছেন দুবাই ও সিঙ্গাপুর
থেকে। এই দু'টি রুটে বিশেষ ফ্লাইট চলছে।
মন্তব্য করুন