- বাংলাদেশ
- পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল আরও দুই বছর
করোনার প্রভাব
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল আরও দুই বছর

পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বেড়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়িয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। তবে এক বছর পর দেশের বৃহত্তম এ সেতু যান চলাচলের উপযুক্ত হবে। যাচাই-বাছাই শেষে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে গতকাল সই করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মেয়াদ বাড়াতে সেতু বিভাগের প্রস্তাব বিবেচনা করতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে সুপারিশ পাঠায়। দুই দফা ফেরত দেওয়ার পর গতকাল ফাইলে সই করেন মন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ভৌত অবকাঠামো বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সড়ক পরিবহন উইং বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সমকালকে জানান, মন্ত্রীর সই করা চিঠি গতকালই তারা সেতু বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এ নিয়ে তৃতীয় দফা মেয়াদ বাড়ল সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া বৃহৎ প্রল্পটির। দ্বিতীয় দফা সংশোধনীর পর এ বছর জুনে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সর্বশেষ গত জানুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ ৯২ শতাংশ শেষ হয়। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ছিল ৮৪ শতাংশ।
সূত্র জানায়, মেয়াদ দুই বছর বাড়লেও মূল সেতুর কাজ শেষে আগামী বছর জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বর্ধিত মেয়াদের বাকি এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে হবে। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড বা নির্মাণ শেষে কোনো ত্রুটি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতার জন্য অতিরিক্ত এক বছর সময় হাতে রাখা হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও নতুন করে ব্যয় বাড়ছে না। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) কমিয়ে দুই হাজার ৯৯ কোটি টাকা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তারা। তিনি জানান, চীনসহ মোট ১৮ দেশের প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন প্রকল্পে। করোনায় এসব দেশের অনেকেই এখনও ঢাকায় ফিরতে পারেননি। স্থানীয়ভাবে এসব বিশেষজ্ঞ জনবলের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যায় আইএমইডি বলেছে, অতিমারি করোনার কারণে গত এক বছর সময় ধরে প্রকল্পের কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিদেশি পরামর্শক এবং চায়নিজ ঠিকাদারের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এখনও প্রকল্প এলাকায় কাজে ফিরতে পারেননি। প্রকল্পে ১৮ দেশের চার হাজার বিদেশি কাজ করেন। প্রকল্প এলাকায় যারা অবস্থান করছেন, তাদের অনেকেই করোনা ভীতির কারণে নিয়মিত কাজে আসেননি। এতে প্রকল্পের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া গত মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী এবং দফায় দফায় বন্যায় নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া অংশের নির্মাণ ইয়ার্ড ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙনে ১২৫টি রেলওয়ে স্লাব এবং ১৯২টি রেলওয়ে স্ট্রিংগার তলিয়ে যায়। ফলে সংগত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন। প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এ সুপারিশ করেছে আইএমইডি। আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, করোনার বাস্তবতায় প্রকল্প কাজের গতি ব্যাহত হয়েছে। এখানে কারও কিছু করার ছিল না।
মেয়াদ বাড়াতে সেতু বিভাগের প্রস্তাব বিবেচনা করতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে সুপারিশ পাঠায়। দুই দফা ফেরত দেওয়ার পর গতকাল ফাইলে সই করেন মন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ভৌত অবকাঠামো বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সড়ক পরিবহন উইং বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সমকালকে জানান, মন্ত্রীর সই করা চিঠি গতকালই তারা সেতু বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এ নিয়ে তৃতীয় দফা মেয়াদ বাড়ল সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া বৃহৎ প্রল্পটির। দ্বিতীয় দফা সংশোধনীর পর এ বছর জুনে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সর্বশেষ গত জানুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ ৯২ শতাংশ শেষ হয়। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ছিল ৮৪ শতাংশ।
সূত্র জানায়, মেয়াদ দুই বছর বাড়লেও মূল সেতুর কাজ শেষে আগামী বছর জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বর্ধিত মেয়াদের বাকি এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে হবে। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড বা নির্মাণ শেষে কোনো ত্রুটি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতার জন্য অতিরিক্ত এক বছর সময় হাতে রাখা হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও নতুন করে ব্যয় বাড়ছে না। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) কমিয়ে দুই হাজার ৯৯ কোটি টাকা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তারা। তিনি জানান, চীনসহ মোট ১৮ দেশের প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন প্রকল্পে। করোনায় এসব দেশের অনেকেই এখনও ঢাকায় ফিরতে পারেননি। স্থানীয়ভাবে এসব বিশেষজ্ঞ জনবলের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যায় আইএমইডি বলেছে, অতিমারি করোনার কারণে গত এক বছর সময় ধরে প্রকল্পের কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিদেশি পরামর্শক এবং চায়নিজ ঠিকাদারের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এখনও প্রকল্প এলাকায় কাজে ফিরতে পারেননি। প্রকল্পে ১৮ দেশের চার হাজার বিদেশি কাজ করেন। প্রকল্প এলাকায় যারা অবস্থান করছেন, তাদের অনেকেই করোনা ভীতির কারণে নিয়মিত কাজে আসেননি। এতে প্রকল্পের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া গত মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী এবং দফায় দফায় বন্যায় নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া অংশের নির্মাণ ইয়ার্ড ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙনে ১২৫টি রেলওয়ে স্লাব এবং ১৯২টি রেলওয়ে স্ট্রিংগার তলিয়ে যায়। ফলে সংগত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন। প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এ সুপারিশ করেছে আইএমইডি। আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, করোনার বাস্তবতায় প্রকল্প কাজের গতি ব্যাহত হয়েছে। এখানে কারও কিছু করার ছিল না।
মন্তব্য করুন