রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন তার পরিবার। সরকারের অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে আগামী রোববার কিংবা সোমবারের মধ্যে বিদেশে নেয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাজ তারা অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন। শনিবার হয়তো লন্ডনের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে। সেই হিসেবে ভিসা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে নেয়ার অন্যান্য কার্যক্রমও চূড়ান্ত করা হবে। তার সঙ্গে তিন থেকে চারজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যাবেন। তাদের বিষয়েও সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। তবে দলীয় কোনো নেতাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে না যাওয়ার জন্য উৎসাহী করা হচ্ছে। এরপরও দুই-একজন নেতা তার সঙ্গে যাবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন। নবায়ন হয়ে যাবে।

খালেদা জিয়া পাসপোর্ট নবায়ন করে নতুন মেসিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবউদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ করে তা জমাও দেওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট পেলেই ভিসার প্রক্রিয়া শুরু করবে তার পরিবার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তবে শুক্রবার দুপুরের পর তার অক্সিজেন প্রয়োজনীয়তা খুব কম ছিলো। এ সময়ের বেশিরভাগটা তিনি অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিয়েছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তার অন্যতম ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রখ্যাত 'বক্ষব্যাথি ও মেডিসিন' বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। তার সঙ্গে ডা. মোহাম্মদ আল মামুনও ছিলেন। এছাড়া হাসপাতালে সার্বক্ষনিকভাবে অবস্থান করছেন মেডিকেল টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবার যেমন ছিলো আজ শুক্রবারও তেমনি রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।

পরিবারের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খোজ নিতে তার ভাই শামীম এস্কান্দার, ভাবী কানিজ ফাতেমা ও ভাইয়ের ছেলে অভিক এস্কান্দার হাসপাতালে যান। বিএনপি নেতাদের মধ্যে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মামুন হাসানসহ আরো অনেকে হাসপাতালে যান।