- বাংলাদেশ
- ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও মিশন সেভ বাংলাদেশ
ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও মিশন সেভ বাংলাদেশ

রাজধানীর বাসাবোয় সোমবার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হচ্ছে -সমকাল
করোনা মাহমারির মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিচ্ছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও মিশন সেভ বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে তারা হাতে নিয়েছে 'উচ্ছাসের ঈদ' নামে একটি প্রজেক্ট। এর মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।
সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও, বাসাবো, কেরানীগঞ্জ, কাঁচপুর ও গুলশানের ডিওএইচএস এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত ৫ শতাধিক শিশুর মাঝে ঈদ উপলক্ষে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সেভ দ্যা পিপল ফাউন্ডেশন নামে একটি যুব সংগঠনের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা এ কাজে সহায়তায় করেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোমিনুল ইসলাম বলেন, 'আমরা সবাই দেখছি করোনাভাইরাসের কারণে কীভাবে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি খারাপ লেগেছে ভেবে যে ছোটদের ঈদের আনন্দটা অনেকটা বিলীন হয়ে যাচ্ছে এসব কারণে। তাই নিষ্পাপ ও হাসোজ্জল শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়াবার লক্ষেই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। আমি আন্তরিকভাবে মিশন সেভ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই প্রজেক্টে আমাদের অংশীদার করার জন্য।'
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের হেড অব কোম্পানি স্ট্র্যাটেজি (ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন) তারেক ইসলাম শুভ বলেন, 'আমরা মিশন সেভ বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে এই কাজটি সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। দেখে খুবই ভালো লাগছে যে গত বছর ঠিক এই সময় যখন মিশন সেভ বাংলাদেশ লকডাউনের মাঝে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছিলো, ঠিক একই ভাবে এই বছর তারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা আগামীতেও মিশন সেভ বাংলাদেশের বিভিন্ন কাজের অংশীদার হিসেবে থাকতে চাই।‘
মিশন সেভ বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি ইমরান কাদির বলেন, 'একদম শুরু থেকেই আমরা মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনদের সঙ্গে মিলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা এবারের ঈদের প্রজেক্টে আইপিডিসি ফাইন্যান্সেকে পাশে পেয়ে সত্যিকার অর্থে আনন্দিত বোধ করছি। এর পাশাপাশি আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই রেডেক্সকে, যারা পুরো কার্যক্রমে আমাদের সহায়তা করেছে।'
বাসাবোয় খাদ্যসামগ্রী নিতে আসা শিশু লাবিবা বলে, 'এ বছর অনেক ইচ্ছে ছিল একটি গোলাপি ফ্রক কিনবো, বাবা মানা করে দেয়ায় মন কিছুটা খারাপ ছিল। তবে আজকের এই কর্মসূচিতে এসে অনেক ভালো লাগছে। এই বাক্সভর্তি খাবার নিয়ে এবারের ঈদে পরিবারের সবাই মিলে বেশ মজা করবো।'
মন্তব্য করুন