করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল। বাস মালিক ও শ্রমিকেরা গণপরিবহন চালু করার দাবি তুললেও মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় তার আরও 'কিছু দিন' বন্ধ রাখার পক্ষপাতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সংক্রমণ আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার প্রেক্ষিতে এক বছর পর গত ৬ এপ্রিল পুনরায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। সেই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপরও দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ আছে। এটা ২৩ মে'র পরেও কি না, সেই সিদ্ধান্ত আমরা এখনই নিতে পারছি না। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ থাকবে আরও বেশ কিছু দিন সময় বন্ধ থাকার।’

দ্রুত সংক্রমণশীল করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ঠেকাতে দেশটির সঙ্গে সীমান্তও আরও কিছু দিন বন্ধ রাখার সুপারিশ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ কিছুটা হলেও নিরাপদে আছে।’

এদিকে, সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে এতে স্বাস্থ্যসেবা সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলমসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত ও যুগ্মসচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

এতে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্টটি দেশে আসলেও তাদেরকে সঠিকভাবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করায় এটি দেশে এখনো ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে আগামী কিছুদিন আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ারা যেন আগামী কিছুদিন ঢাকায় ফিরতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারকে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে।'