- বাংলাদেশ
- সচিবের কার্যালয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে: মির্জা ফখরুল
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা
সচিবের কার্যালয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে: মির্জা ফখরুল

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীর বলেছেন, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছেন বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে। করোনাকালীন স্বাস্থ্য খাতে সরকার, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন দুর্নীতি দেশবাসীর সামনের প্রকাশ করার কারণেই দেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কার্যালয়ে।
মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁয়ের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, রোজিনার প্রতি যা হয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমরা কল্পনাও করতে পারি না রোজিনা মত একজন উচ্চ পর্যায়ের সংবাদকর্মী যিনি সব সময় সত্য প্রকাশ করেছেন তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি অনেক আগে থেকে বলে আসছে, এদেশে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই। ভিন্ন মতের হলেই সমস্যা। কোনটাকে তারা গণতন্ত্র বলছে? ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র বলা যায় না।
এখনও সময় আছে নিজেদের স্বার্থে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার কথা বলে মির্জা ফখরুল বলেন, রোজিনা ইসলামের মত অনেকের সঙ্গে এমনটি ঘটেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশ করার কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন সংবাদকর্মীকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার কথা বললেও আজও কোনো হদিশ মেলেনি। সরকারের বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করার কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ সরকারের সময়ে সাংবাদিকদের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে। এমপি, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার হতে হয় সংবাদকর্মীদের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের জব্দ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন কেউ সত্য প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য রোজিনার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুর রহমান তুহিনসহ বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন