- বাংলাদেশ
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির

ছবি: সমকাল
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, সমিতির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক ড. মো. আবদুর রহিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিচ এন্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফকরুল আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা প্রতারিত হয়েছেন। তখন ইসরাইল স্বীকৃতি পেলেও ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পায়নি। দ্বিতীয়বার প্রতারণার স্বীকার হয়েছে ১৯৬৭ সালে। আর এই প্রতিটি ঘটনায় ফিলিস্তিনিরা ভূমি ও নিরীহ মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। সে কারণেই বলা হয় ইসরাইলি অকুপেশন। ইসরায়েলের এই নারকীয় বর্বরোচিত গণহত্যা, শিশু হত্যা, নারী হত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার কারণে ইতিমধ্যে ইসরায়েল একটি শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারাবিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে। ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রীসহ যারা গণহত্যার পক্ষ নিয়েছে তাদের সবার প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি। জাতিসংঘসহ যারা মানবতার অনতিবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। এটি কোনো ধর্মের বিষয় নয়, এটি মানবতার বিষয়। সবাইকে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনের উপর, মুসলমানদের উপর ইসরায়েলের হামলা এবারই প্রথম নয়, তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে হামলা-গণহত্যা করেছে। এবার তারা এমন এক সময় তারা গণহত্যা চালাচ্ছে, যখন সারা বিশ্ব করোনায় বিপর্যস্ত। ইসরায়েলের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইসরায়েলের এই আগ্রাসন রুখে দিতে সারা বিশ্বের মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, ইসরায়েল নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী। তাদের মানবতাবিরোধী কাজের প্রতি আমাদের নিন্দা। তারা আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফিলিস্তিনের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। পৃথিবীর কোনো আইনই তাদের পক্ষে কথা বলবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সবসময় নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের হয়ে কথা বলবে। আজ যদি মুসলান কর্তৃক অন্য ধর্মালম্বীদের উপর গণহত্যা চলতো তখনও আমরা প্রতিবাদ করতাম।
মন্তব্য করুন