- বাংলাদেশ
- সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা তবুও কাটছে না ভয়
সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা তবুও কাটছে না ভয়
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও করোনার ভারতীয় ধরন

দেশে 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' সংক্রমণের খবরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আতঙ্ক কাটেনি। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কারও শরীরে এ ধরনের কোনো উপসর্গের খবর মেলেনি। করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। একইভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে উচ্চপর্যায়ের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না পেলেও নিজেদের মতো করে তৎপরতা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলা সাত দিনের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে জেলা শহরে লকডাউন কঠোর থাকলেও মফস্বলে ছিল একেবারেই ঢিলেঢালা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।
যশোর অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দু'জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তবে তাদের কেউই ভারতফেরত যাত্রী নন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, এ জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এপ্রিলে জেলায় আক্রান্তের হার ছিল ২১ শতাংশ। চলতি মে মাসে তা ১৬ শতাংশে নেমেছে।
করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ হওয়ার পর এ পর্যন্ত ভারতে আটকেপড়া চার হাজার ৮ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। তাদের সবাইকে যশোরসহ আশপাশের জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তবে পাসপোর্ট যাত্রীদের ব্যাপারে সরকারি নজরদারি থাকলেও বেনাপোলে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান জানান, বন্দরে তাদের সার্বক্ষণিক সমন্বিত নজরদারি রয়েছে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, করোনার সংক্রমণ ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয়দের। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় অবৈধ পথে আসা মানুষের মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, সীমান্তে কড়াকড়ি অব্যাহত রয়েছে। তার মধ্যেও কেউ ঝুঁকি নিয়ে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের আটক করছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, ১৭ মে ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গায় দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ফিরে আসা শুরু হয়। গত ১০ দিনে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন ৭১১ জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১১।
রাজশাহী ব্যুরো ও শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ এবং তিনজনের উপসর্গ ছিল। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের এবং রাজশাহীর ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শনাক্তের হার ৫৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। রাজশাহীতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৯১ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে লকডাউন অমান্য করে ট্রাকে করে ঢাকা যাওয়ার সময় ২১ জনকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবর গভীর রাতে উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। শিবগঞ্জ ইউএনও সাকিব আল রাব্বি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলায় কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার কেবল শহরেই ছিল লকডাউন। জেলা শহরে দোকান ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। গ্রামের বাজারে লকডাউন মানা হয়নি বললেই চলে। জেলা শহরে ছোট যানবাহন না চললেও গ্রামাঞ্চলে ঠিকই চলছে। তবে আম পরিবহনকারী গাড়িগুলো নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, জেলায় করোনায় আক্রান্ত এক হাজার ৫২৮ জন। করোনায় মোট ৩২ জনের প্রাণ গেছে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুর হাফিজ জানান, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ইউএনওদের কঠোর হতে বলা হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলা সাত দিনের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে জেলা শহরে লকডাউন কঠোর থাকলেও মফস্বলে ছিল একেবারেই ঢিলেঢালা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।
যশোর অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দু'জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তবে তাদের কেউই ভারতফেরত যাত্রী নন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, এ জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এপ্রিলে জেলায় আক্রান্তের হার ছিল ২১ শতাংশ। চলতি মে মাসে তা ১৬ শতাংশে নেমেছে।
করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ হওয়ার পর এ পর্যন্ত ভারতে আটকেপড়া চার হাজার ৮ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। তাদের সবাইকে যশোরসহ আশপাশের জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তবে পাসপোর্ট যাত্রীদের ব্যাপারে সরকারি নজরদারি থাকলেও বেনাপোলে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান জানান, বন্দরে তাদের সার্বক্ষণিক সমন্বিত নজরদারি রয়েছে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, করোনার সংক্রমণ ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয়দের। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় অবৈধ পথে আসা মানুষের মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, সীমান্তে কড়াকড়ি অব্যাহত রয়েছে। তার মধ্যেও কেউ ঝুঁকি নিয়ে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের আটক করছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, ১৭ মে ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গায় দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ফিরে আসা শুরু হয়। গত ১০ দিনে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন ৭১১ জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১১।
রাজশাহী ব্যুরো ও শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ এবং তিনজনের উপসর্গ ছিল। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের এবং রাজশাহীর ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শনাক্তের হার ৫৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। রাজশাহীতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৯১ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে লকডাউন অমান্য করে ট্রাকে করে ঢাকা যাওয়ার সময় ২১ জনকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবর গভীর রাতে উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। শিবগঞ্জ ইউএনও সাকিব আল রাব্বি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলায় কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার কেবল শহরেই ছিল লকডাউন। জেলা শহরে দোকান ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। গ্রামের বাজারে লকডাউন মানা হয়নি বললেই চলে। জেলা শহরে ছোট যানবাহন না চললেও গ্রামাঞ্চলে ঠিকই চলছে। তবে আম পরিবহনকারী গাড়িগুলো নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, জেলায় করোনায় আক্রান্ত এক হাজার ৫২৮ জন। করোনায় মোট ৩২ জনের প্রাণ গেছে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুর হাফিজ জানান, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ইউএনওদের কঠোর হতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন