- বাংলাদেশ
- জ্বরে আক্রান্ত খালেদা জিয়া
জ্বরে আক্রান্ত খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে তার দুইবার জ্বর এসেছে। তার শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির নীচে হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।
শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল, তা নিয়ে দুপুরে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন মোটামুটিভাবে ভালো, প্যারামিটারগুলো ভালো। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার জ্বর দেখা দিয়েছে, যেটার কারণ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।
গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা 'ফিরোজা'য় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৩ মে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করে। পোস্ট কোভিড জটিলতায় খালেদা জিয়ার পুরনো রোগ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার ধীরে উন্নতি হচ্ছে। দীর্ঘদিন পরে বৃহস্পতিবার তাকে গোসল করানো হয়। এতে তার শরীরের তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা ১০০ ডিগ্রির নীচে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এবং রাতে দুই দফায় তার এই সামান্য জ্বর আসে। যা সর্বোচ্চ ৯৯.৬ ডিগ্রি ছিলো। তবে স্বাভাবিক ওষুধ হিসেবে তাকে প্যারাসিটেমল দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার ফিজিওফেরাপীর অংশ হিসেবে তাকে প্রতিদিন রুটিন করে হাঁটানো হচ্ছে। এখন তিনি অনেকটা একা একা বসতে পারেন।
তার অন্যান্য রোগ সম্পর্কে ওই চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার অনেক পুরানো রোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন করাগারে থাকার কারণে সেসবের সুচিকিৎসা হয়নি। এখন সেসব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে তার ডায়াবেটিক এখনও উঠানামা করছে। নিয়মিত ইনস্যুলিন দেওয়া হচ্ছে। এরপরও খাবারের পর তার ডায়াবেটিক মাত্রা ১০ পর্যন্ত ওঠে। তার রক্তের হিমোগ্লোবিন কম। যার মাত্রা ৯.২। কোভিড পরবর্তী জটিলতায় হার্টে অনেক সমস্যা হয়। তারও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি। তার হার্টবিট বাড়তি রয়েছে।
খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার ভালো ঘুম হচ্ছে। এখন একটু সুস্থ বোধ করায় কথাও বলছেন। তার শরীরের অবস্থা বুঝে এখন পরিমাণমতো স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। কিডনীর জটিলতা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তার শারীরিক যে অবস্থা তাতে এখনও তাকে কেবিনে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। ফলে তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানান খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন