মস্তিস্কের বিকাশজনিত রোগ (নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজিজ) তথা এনডিডিতে আক্রান্ত শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজতর করার লক্ষ্যে ডিজএবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) এর সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টেলিমেডিসিন চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অবস্থিত ইপনা এর সেমিনার হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এর মধ্য দিয়ে ডিআরআরএ তার কার্যক্রমের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সমঝোতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ইপনা এর পক্ষে পরিচালক ও শিশু অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. শাহিন আক্তার এবং ডিআরআরএ এর পক্ষে নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইপনার একাডেমিক উপ-পরিচালক ডা. কানিজ ফাতেমা, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দা তাবাস্‌সুম আলম ও প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী ডাক্তার মাজাহারুল মান্নান এবং ডিআরআরএ এর অ্যাডভোকেসী, কমিউনিকেশন উপদেষ্টা স্বপনা রেজা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক তামজিদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেসি ও কমিউনিকেশন অফিসার মারিয়া নাজনীন।

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই মস্তিস্কের বিকাশজনিত রোগ (নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজিজ), সংক্ষেপে এনডিডি শিশু রয়েছে। শহর অঞ্চলে বসবাসকারী, স্বচ্ছল পরিবারের এইসব শিশুরা প্রয়োজন অনুসারে অতিসহজে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারলেও জেলা, উপজেলা, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অস্বচ্ছল পরিবারের এইসব শিশুরা তা পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে তারা বঞ্চিত হন। পাশাপাশি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শটুকু তাদের কাছে যথাসময়ে দ্রুতভাবে পৌঁছায় না। ফলে আশানুরূপভাবে এই সকল শিশুর অভিভাবকেরা সচেতন হয়ে উঠতে পারেন না। এমন দূরদূরান্তের এনডিডি শিশু ও তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে ডিজএবলড রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্চ এসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) এবং ইন্সটিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) সম্মিলিতভাবে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করতে সম্মত হয়েছে।

শনিবার শুরুতে রাজধানী ঢাকার বাড্ডা, সাতক্ষীরার দেবভাটা ও চুয়াডাংগার বেশ কজন এনডিডি শিশু টেলিমেডিসিন চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইপনার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে।