ভুয়া এলসি খুলে ৫২৫ কোটি টাকা পাচার চক্রের মূল হোতা বিল্লাল হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি চলছে। রোববার থেকে তিন দিনের রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মামলার তদন্ত-সংশ্নিষ্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

কর্মকর্তারা জানান, বুধবার রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের নামও জানা যাবে বলে আশা করছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

তারা জানান, বিল্লালের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি ব্যাংকে ভুয়া এলসি খুলে ৫২৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম ভুঁইয়া বলেন, একটি বেসরকারি ব্যাংকে ৫২৫ কোটি টাকার এলসি করেছিলেন বিল্লাল হোসেন। এ ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাপ আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন), ট্রেড লাইসেন্স, শিল্পকারখানার কাগজপত্র ইত্যাদিও করিয়েছেন। এলসির নথিপত্র অনুযায়ী তার নাম সুরুজ মিয়া। কিন্তু তার প্রকৃত নাম বিল্লাল হোসেন খান। শুধু তা-ই নয়, পরিচয়পত্র, টিআইএন, ট্রেড লাইসেন্সগুলোও ভুয়া, যা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তৈরি করেছেন। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রে যে নম্বরটি উল্লেখ করেছেন, সেটিও ভুয়া।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে মেশিনারিজ ঘোষণা দিয়ে অবৈধ মদ, সিগারেট ও টেলিভিশন আমদানির মূল হোতা বিল্লাল।