শৈশব থেকেই বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আশুতোষ নাথ। করবেন রসায়নে গবেষণাও। সেই স্বপ্নকে সব সময় লালন করেছেন। জীবিকার তাগিদে ২০১৬ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি নেন তিনি। অদম্য এই তরুণ কাজের ফাঁকেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে রসায়নে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এবার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে আশুতোষের। সবাইকে অবাক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসে উচ্চতর গবেষণার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন তিনি। সেখানে মেডিসিনাল অ্যান্ড সিনথেটিক অর্গানিক কেমিস্ট্রি বিষয়ের ওপর তিনি পিএইচডি করবেন।

আশুতোষের বেড়ে ওঠা খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে। বাবা মিলন নাথ রাইস মিল চালান। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট আশুতোষ দারিদ্র্যের মধ্যে সংগ্রাম করেই বড় হয়েছেন। ২০০৮ সালে মানিকছড়ি রানী নীহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১০ সালে মানিকছড়ি গিরী মৈত্রী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে রসায়নে বিএসসি (অনার্স) পাস করেন। ২০১৯ সালে বুয়েটে পড়া অবস্থাতেই গান্ধী দেবীকে বিয়ে করেন। স্ত্রী চট্টগ্রামে পড়াশোনা করছেন। আশুতোষের গবেষণার তিনটি আর্টিকেল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক আগামী ১২ আগস্ট রওনা দেবেন তিনি। আগামী পাঁচ বছর সস্ত্রীক সেখানেই থাকবেন।

আশুতোষ সমকালকে বলেন, 'ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল রসায়নে উচ্চতর গবেষণা করব। সবার কাছে আশীর্বাদ চাই।'

আশুতোষের পিএইচডির বৃত্তি লাভের সংবাদে খুশি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সবাই। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন সমকালকে বলেন, মানুষের প্রতিভা থাকলে বিকশিত হবেই। তার প্রমাণ আমাদের আশুতোষ নাথ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আশুতোষ নাথের পিএইচডি বৃত্তি লাভের সংবাদে আমরা আনন্দিত।