- বাংলাদেশ
- এ আর রহমানের সঙ্গে লেনদেন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
এ আর রহমানের সঙ্গে লেনদেন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বিসিবিকে অগ্রিম ১০ লাখ ডলার পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তিনি আসেননি

অস্কার বিজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে আনার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। এ জন্য অগ্রিম ১০ লাখ ডলার সমপরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা পরিশোধের অনুমোদন নেয় সংস্থাটি। গত বছরের মার্চের শুরুর দিকে শর্তসাপেক্ষে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে এ অর্থ পাঠানোর অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত এ আর রহমান ওই অনুষ্ঠানে আসেননি। এমন প্রেক্ষাপটে অর্থ লেনদেনের সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর 'মুজিব চিরন্তন' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কনসার্ট করার কথা ছিল এ আর রহমানের। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে শেষ মুহূর্তে তিনি আসতে পারেননি। শুধু নিজের সুর করা হিন্দি ও বাংলা দুটি গান পাঠিয়ে দেন। এর মিউজিক ভিডিও প্রদর্শিত হয় মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানের শেষ দিন গত বছরের ২৭ মার্চ। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রদর্শিত বাংলা গানের শিরোনাম ছিল 'আজও শুনি বজ্রধ্বনি' এবং হিন্দি গানের শিরোনাম ছিল 'জয় বঙ্গবন্ধু'। শেষ সময়ে অনুষ্ঠান বাতিল হলেও এর আগেই তাকে অগ্রিম ১০ লাখ ডলার পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আর রহমানের মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে তিন দফায় অগ্রিম অর্থ পাঠানোর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালার শর্তের আলোকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বিসিবির নামে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে এ অর্থ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথম দফায় গত বছরের ১ মার্চ কুইকি ডিজিটাল মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ইন্ডিয়ার নামে তিন লাখ ১৬ হাজার ৯০১ ডলার পাঠানোর অনুমতি পায় বিসিবি। এরপর ১০ মার্চ পাঞ্চাথন রেকর্ড ইনের নামে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হয়। একই দিন ব্যান্ড সেবার জন্য বিটিওএস ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৯ ডলার পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, অর্থ পাঠানোর অনুমোদনে চারটি শর্ত জুড়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রথম শর্ত ছিল- কোনো কারণে অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চুক্তি পরিপালনে ব্যর্থ হলে বিসিবিকে অর্থ ফেরত আনার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আর এ বিষয়ে বিসিবির অঙ্গীকারনামা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে বলা হয়। দ্বিতীয়ত, পাঠানো অর্থের বিপরীতে প্রযোজ্য ভ্যাট ও ট্যাক্স কেটে যথানিয়মে সরকারি কোষাগারে দিতে হবে। তৃতীয়ত, যে প্রতিষ্ঠানে অর্থ পাঠানো হচ্ছে, বিসিবির সঙ্গে ওই সব প্রতিষ্ঠানের চুক্তির কপি ও অন্যান্য দলিল ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে। চতুর্থ শর্ত ছিল, অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে অন্য কোনো সরকারি সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হলে তা নিতে হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, এ আর রহমান লাইভ কনসাটে এসে গান গাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই সময় করোনার কারণে তিনি আসতে পারেননি। যদিও তিনি দুটি গান পাঠিয়ে দেন। এর জন্য সম্মানী তিনি পাবেন। বাকি অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের সেলিব্রেটিদের আনতে হলে অগ্রিম অর্থ পাঠানোর প্রয়োজন হয়। অর্থ পাঠাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। ১০ লাখ ডলার অগ্রিম পরিশোধের অনুমোদন নিলেও কী পরিমাণ অর্থ তাকে পরিশোধ করা হয়েছে তা জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে অর্থ ফেরত আনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু অবহিত করেনি বিসিবি বা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এ রকম প্রেক্ষাপটে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নিয়ম মেনে অর্থ পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হলেও এ আর রহমান আসেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু জানানো হয়নি। যে কারণে সব শর্ত মেনে অগ্রিম অর্থ পাঠানো হয়েছে কিনা এবং কোনো অংশ ফেরত এসেছে কিনা তা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর 'মুজিব চিরন্তন' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কনসার্ট করার কথা ছিল এ আর রহমানের। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে শেষ মুহূর্তে তিনি আসতে পারেননি। শুধু নিজের সুর করা হিন্দি ও বাংলা দুটি গান পাঠিয়ে দেন। এর মিউজিক ভিডিও প্রদর্শিত হয় মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানের শেষ দিন গত বছরের ২৭ মার্চ। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রদর্শিত বাংলা গানের শিরোনাম ছিল 'আজও শুনি বজ্রধ্বনি' এবং হিন্দি গানের শিরোনাম ছিল 'জয় বঙ্গবন্ধু'। শেষ সময়ে অনুষ্ঠান বাতিল হলেও এর আগেই তাকে অগ্রিম ১০ লাখ ডলার পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আর রহমানের মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে তিন দফায় অগ্রিম অর্থ পাঠানোর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালার শর্তের আলোকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বিসিবির নামে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে এ অর্থ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথম দফায় গত বছরের ১ মার্চ কুইকি ডিজিটাল মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ইন্ডিয়ার নামে তিন লাখ ১৬ হাজার ৯০১ ডলার পাঠানোর অনুমতি পায় বিসিবি। এরপর ১০ মার্চ পাঞ্চাথন রেকর্ড ইনের নামে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হয়। একই দিন ব্যান্ড সেবার জন্য বিটিওএস ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৯ ডলার পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, অর্থ পাঠানোর অনুমোদনে চারটি শর্ত জুড়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রথম শর্ত ছিল- কোনো কারণে অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চুক্তি পরিপালনে ব্যর্থ হলে বিসিবিকে অর্থ ফেরত আনার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আর এ বিষয়ে বিসিবির অঙ্গীকারনামা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে বলা হয়। দ্বিতীয়ত, পাঠানো অর্থের বিপরীতে প্রযোজ্য ভ্যাট ও ট্যাক্স কেটে যথানিয়মে সরকারি কোষাগারে দিতে হবে। তৃতীয়ত, যে প্রতিষ্ঠানে অর্থ পাঠানো হচ্ছে, বিসিবির সঙ্গে ওই সব প্রতিষ্ঠানের চুক্তির কপি ও অন্যান্য দলিল ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে। চতুর্থ শর্ত ছিল, অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে অন্য কোনো সরকারি সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হলে তা নিতে হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, এ আর রহমান লাইভ কনসাটে এসে গান গাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই সময় করোনার কারণে তিনি আসতে পারেননি। যদিও তিনি দুটি গান পাঠিয়ে দেন। এর জন্য সম্মানী তিনি পাবেন। বাকি অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের সেলিব্রেটিদের আনতে হলে অগ্রিম অর্থ পাঠানোর প্রয়োজন হয়। অর্থ পাঠাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। ১০ লাখ ডলার অগ্রিম পরিশোধের অনুমোদন নিলেও কী পরিমাণ অর্থ তাকে পরিশোধ করা হয়েছে তা জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে অর্থ ফেরত আনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু অবহিত করেনি বিসিবি বা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এ রকম প্রেক্ষাপটে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নিয়ম মেনে অর্থ পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হলেও এ আর রহমান আসেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু জানানো হয়নি। যে কারণে সব শর্ত মেনে অগ্রিম অর্থ পাঠানো হয়েছে কিনা এবং কোনো অংশ ফেরত এসেছে কিনা তা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন