বাংলাদেশ বহুমুখী উৎস থেকে টিকা পাওয়া নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার বিকেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোতে হঠাৎ কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে টিকা সহযোগিতায় অংশগ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে কোভিডের টিকাকে জনসাধারণের সম্পত্তি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। আর এটি তৈরির প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নেওয়াও খুবই প্রয়োজন, যেন সব দেশ টিকা উৎপাদনে যেতে পারে এবং মানুষ সহজে টিকা পায়।’

মোমেন বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি দেখিয়েছে, রাজনৈতিক নেতা, বিজ্ঞানী এবং নাগরিকরা স্বাস্থ্য সংকটের এই সময়ে কেউই বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারবেন না। সে জন্য টিকা প্রাপ্তিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয় হিসেবে দেখা উচিত। এ জন্য সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তায় সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে পাঁচটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

এগুলো উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক রাশেদ উজজামান, সেনাসদরের ওভারসিস অপারেশন বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলাম আকন্দ, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এবং বিসের গবেষণা ফেলো এম আশিক রহমান।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম। স্বাগত বক্তব্য দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এমদাদুল বারী।

বিস চেয়ারম্যান ফজলুল করিম বলেন, ‘যেকোনো একটি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সে অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক থাকা আবশ্যক। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় এটি অনুপস্থিত। এখানে বরং বিভিন্ন দেশের মধ্যে সন্দেহ বিরাজমান। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক যোগাযোগ প্রত্যাশিত মাত্রায় গড়ে ওঠেনি। এটা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতির পথে অন্যতম অন্তরায়।’

বিস মহাপরিচালক এমদাদুল বারী বলেন, ‘বিশ্ব শক্তির ভিত্তি ও রাজনীতির ভরকেন্দ্র ক্রমেই পরিবর্তিত হওয়ায় এবং চীনের উত্থানের ফলে একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। একই সঙ্গে বিশ্ব ভূ-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।’