জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, এই বাজেট আগাগোড়া ধনী ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে এই সংসদে রাজনীতিবিদদের সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশ, ৫ পারসেন্ট ছিলেন ব্যবসায়ী। আর আজকে ২০২১ সালে ৭৫ পারসেন্ট ব্যবসায়ী আর ২৫ পারসেন্ট রাজনীতিবিদ। এই হচ্ছে বাজেটের অবস্থা। 

তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী একজন ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী। স্বভাবত কারণেই তাদের স্বার্থে এবং তাদের জন্যই বাজেট প্রণয়ন করা হবে। এখানে বৈষম্যের কোনো রূপরেখা থাকবে না। এই বাজেট দেওয়ার ফলেই ধনী আরও ধনী হবে, গরিব আরও গরিব হবে।’

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। 

জাতীয় পার্টির সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, করোনাকালে এবার একটি ভিন্নধর্মী বাজেট হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু বাজেটে কিছু দেখা যায়নি। করোনার কোনো প্রভাব যে আছে তা বাজেটে পাওয়া যায়নি।