- বাংলাদেশ
- হাসপাতালে রোগীর চাপ
হাসপাতালে রোগীর চাপ
আক্রান্তের ৮০ শতাংশই ডেলটা ধরনে সংক্রমিত :আইইডিসিআর

তীব্র শ্বাসকষ্টে অবস্থার অবনতি হলে করোনা আক্রান্ত রাশেদা বেগমকে মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন স্বজনরা-মাহবুব হোসেন নবীন
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। মৃত্যুও বাড়ছে সমানতালে। আগের সংখ্যা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যু। রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল শয্যার ওপরেও চাপ বাড়ছে। সারাদেশে করোনার জন্য নির্ধারিত প্রায় অর্ধেক শয্যায় রোগী ভর্তি করা হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, করোনা হাসপাতালের ৪৬ শতাংশ সাধারণ শয্যায় এবং ৫৫ শতাংশ আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছেন।
গত দু'দিনে দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার আট হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। তার আগের দিন রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই ঢাকায় রোগী বাড়ছে। এর মধ্যে গত দু'দিনে সারাদেশে শনাক্তের এক-তৃতীয়াংশের বেশি শনাক্ত হয়েছে রাজধানীতে। বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ভারতীয় ডেলটা ধরনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, জুলাই মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বাড়বে। তখন প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজারের মতো শনাক্ত এবং একশর কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১ জুন থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৯ দিনে সারাদেশে করোনার জন্য নির্ধারিত সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়েছে ২৮ শতাংশ। আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। একই সময়ে ঢাকার সরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় রোগী বেড়েছে ২২ শতাংশ এবং আইসিইউতে রোগী বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় ২৪ শতাংশের বেশি এবং আইসিইউতে ২৭ দশমিক ১৩ শতাংশ রোগী বেড়েছে। ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা মিলে রোগী বেড়েছে যথাক্রমে ২৩ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশের বেশি। দেশের অন্যান্য জেলায় সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় রোগী বেড়েছে যথাক্রমে ২৭ ও ১৮ শতাংশ।
এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে করোনার জন্য নির্ধারিত সাধারণ শয্যার পাশাপাশি আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, সীমিত পরিসরে কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে ভারতীয় ডেলটা ধরন দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই ধরন অত্যন্ত সংক্রমণপ্রবণ। ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে এই ধরন। সুতরাং জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক হতে পারে।
চাপ বাড়ছে :চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছিল। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ওই বছরের জুন-জুলাই মাসে চূড়ায় বা পিকে পৌঁছেছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে সংক্রমণ ছিল আগের বছরের প্রায় দ্বিগুণ। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে রোগী কিছুটা কমতে থাকে এবং মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই-ই কমে আসে।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ শুরু হয়। পরে ধাপে ধাপে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিনই হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়ছে। গত ১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ভর্তির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১ জুন সারাদেশে করোনার জন্য নির্ধারিত সাধারণ ১১ হাজার ৯০৯ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন দুই হাজার ৫০৯ জন। রোগী ভর্তির হার ছিল ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। সারাদেশে আইসিইউর এক হাজার ১৩০ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৩২ জন। অর্থাৎ ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিলেন। ওই দিন ঢাকার সরকারি ১৫ হাসপাতালে তিন হাজার ৪৬৫ সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ৭৫৭ জন। রোগী ভর্তির হার ২১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। একইভাবে আইসিইউর ৩৭৪ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ১১৭ জন। রোগী ভর্তির হার ৩১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ঢাকার বেসরকারি ২৭ হাসপাতালে এক হাজার ৬৭২ সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৮২ জন। রোগী ভর্তির হার ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আইসিইউর ৪৪৬ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ৫৬ জন। রোগী ভর্তির হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ৪২ হাসপাতালে পাঁচ হাজার ১৩৭ সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ৯৩৯ জন। রোগী ভর্তির হার ১৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। আইসিইউর ৮২০ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৭৩ জন। রোগী ভর্তির হার ২১ দশমিক ০৯ শতাংশ। দেশের অন্যান্য জেলায় ছয় হাজার ১৮টি সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন এক হাজার ৩১৫ জন। রোগী ভর্তির হার ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আইসিইউর ২৫১ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ১২৩ শয্যায়। রোগী ভর্তির হার ৪৯ শতাংশ।
এর ১০ দিনের মাথায় ১০ জুন সারাদেশে সাধারণ শয্যার রোগী ভর্তির হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ০৬ শতাংশে। আর আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশে।
ঢাকার সরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ। আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যায় ২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায়। দেশের অন্যান্য জেলায় সাধারণ শয্যায় ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যায় ৫২ দশমিক ৭৭ শতাংশ রোগী বেড়েছে।
২০ জুন সারাদেশে সাধারণ শয্যায় ৩২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যায় ৪১ দশমিক ৭১ শতাংশ রোগী বেড়েছে। ঢাকার সরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় ৩২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যায় ৪৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ রোগী বেড়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যায় ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।
ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ৩৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। দেশের অন্যান্য জেলার সাধারণ শয্যা ও আইসিইউতে রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ৫৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
১০ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশে সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪৫ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ৫৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। ঢাকার সরকারি হাসপাতালে সাধারণ ও আইসিইউতে যথাক্রমে রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় যথাক্রমে রোগী ভর্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ৩৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ। দেশের অন্যান্য জেলার সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ৬৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ :বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাপ্রাপ্তির পূর্ব অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে তখন কিছু শয্যা বাড়ানো হয়। এরপর আবার সেই উদ্যোগ থেমে যায়। প্রধানমন্ত্রী জেলা সদর হাসপাতাল পর্যন্ত আইসিইউ সুবিধা নিশ্চিত করতে বললেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি পর্যাপ্ত সাধারণ শয্যাও বাড়েনি। করোনার সংক্রমণপ্রবণ ভারতীয় ধরনে ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অক্সিজেন সংকট চরমে পৌঁছেছিল। হাসপাতালে মানুষকে ঠাঁই দেওয়া যায়নি। ওই ধরনটি বাংলাদেশেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সুতরাং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি না থাকলে মানুষকে চরম মূল্য দিতে হবে।
বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব সমকালকে বলেন, ভারতীয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সীমান্ত লাগোয়া সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছিল; কিন্তু সেটি সরকার বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু ধাপে ধাপে সীমান্ত জেলা থেকে সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে। সেটি কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কঠোর লকডাউন দেওয়া না গেলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বাড়বে মৃত্যুর মিছিলও। সুতরাং আক্রান্তদের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেন, চিকিৎসা সুবিধা প্রতিদিনই সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে হাসপাতালে ভর্তির চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তিনি বলেন, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে তাদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। টিকাকরণ করা না গেলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনই একমাত্র উপায়। সরকার সেটিই করছে।
৮০ শতাংশই ডেলটা ধরন- আইইডিসিআর :দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ভারতীয় ডেলটা ধরনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত মে ও জুন মাসে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ৮০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি ১০ থেকে ১২ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশের ধরন শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় সব এলাকায় করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রথমে চলতি বছরের মে মাসে সীমান্ত এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ডেলটা ধরন পাওয়া যায়। এরপর আইইডিসিআর ও আইডিএসএইচআইর যৌথ গবেষণায়ও ৮০ শতাংশ ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়।
মন্তব্য করুন