স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে বিস্তর অভিযোগ উঠলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, 'কোথায় করাপশন হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। ঢালাও অ্যালিগেশন উইল নট বি এক্সসেপ্টটেড।' 

বুধবার সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসকালে বিরোধীদলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন তিনি।

এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। এর জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ঢালাওভাবে করাপশনের কথা বললে তো হবে না। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। যে মাস্কের কথা বলছেন, সেই মাস্ক কোনোদিন কেনাই হয়নি। টাকাই দেওয়া হয়নি। মাস্ক গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু মাস্কের কথা আসছে। হুইজ ইজ রং? ভালো করে খতিয়ে দেখে সঠিক কথাটি বলবেন।'

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য দেওয়ার সময় সংসদ সদস্যদের কাউকে কাউকে চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। বক্তব্যের বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যরা। 'আমরা পত্রিকা পড়ি না' এমন শব্দও এ সময় হাউস থেকে শোনা যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটু থেমে গেলে সামনে বসা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী তাকে বক্তব্য চালিয়ে যেতে ইশারা করেন।

সংসদ সদস্যদের সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'সব এমপিরা তো হাসপাতালের চেয়ারম্যান। উন্নয়ন কমিটির সঙ্গে এমপিরা জড়িত। প্রত্যেকে দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলো এমপিদেরই দেখার কথা। মেশিন চলে না। লোক লাগবে। এগুলো তো এমপিদের দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো সেটা দেখেন না। নার্স, ডাক্তার বা যন্ত্রপাতি লাগলে তো আপনাদের বলতে হবে। শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। যা যা প্রয়োজন আছে তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।'

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, 'লকডাউন কেউ তো বাইরে (দেশের বাইরে) যেতে পারননি। সেবা কোথায় নিচ্ছেন? সব বাংলাদেশের হাসপাতালেই সেবা নিচ্ছেন। যেতে তো পারছেন না কোথাও। হাসপাতাল সেই সেবা দিতে পারে বিধায় আপনারা সেবা নিচ্ছেন। ভালো আছেন।'

এর আগে স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, নিয়োগ না হওয়া এসব বিষয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন সংসদ সদস্যরা।