শতবর্ষ উদযাপন: ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই'র কর্মসূচি শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বছরব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত বৃহস্পতিবারের (০১ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠান লকডাউনের কারণে আজ বুধবার করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোর চত্বরে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুগ্ম মহাসচিব সুভাষ সিংহ রায়, কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাঁথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উদ্দেশে আমরা এগিয়ে চলছি। শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং গবেষণার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্র জোরদার করার জন্য ‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া’ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সবার সদয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। মহান এ বিদ্যাপীঠের স্বনামধন্য সাবেক শিক্ষার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের বিরল সৌভাগ্য প্রাপ্তির ক্ষণে আমরা দেশের শিক্ষা ও গবেষণার মান আরও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। বিশ্ব বিধ্বংসী কভিড-১৯ এর তীব্রতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা এগিয়ে যাব এবং কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করব, ইনশাল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে এ. কে. আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংকের বৃত্তি দেয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য, আমরা আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করতে পারছি। আগামী একবছর এ শতবর্ষ উদযাপন করা হবে।

বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। তাই পূর্বনির্ধারিত এ দিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান একদিন আগে বুধবার সীমিত আকারে করা হয়েছে। আগামী একবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের  প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য- খুকু খালেদ, সালেহা খাতুন স্নিগ্ধা, ডা. কাইয়ুম লস্কর, ফরিদ উদ্দিন মোল্লা, আজীবন সদস্য জিনাত রেহেনা ও সবিতা সাহা প্রমুখ।