- বাংলাদেশ
- ধর্ষণের শিকার নারীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ দেখানোর সুযোগ বাদ যাচ্ছে
ধর্ষণের শিকার নারীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ দেখানোর সুযোগ বাদ যাচ্ছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ধর্ষণ মামলায় ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ আইন থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেজন্য সরকার বিদ্যমান সাক্ষ্য আইন সংশোধনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসকালে বিরোধী দলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় এমন বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধরায়, এখানে রেইপ কেইসে ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে কথা বলার একটা সাব সেকশন আছে। সেটাকেও পরিবর্তন করার জন্য নির্দেশনা পেয়েছি। সেটাও পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা মনে হয় পূর্ণাঙ্গ ভাবে সেপ্টেম্বর মাসে যে সংসদ অধিবেশন হবে সেখানে আইন নিয়ে আসতে পারবো।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ১৫৫(৪) ধারায় অনুসারে কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’। ধর্ষণের অভিযোগে সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। গত নভেম্বর মাসে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে সরকার। সেখানে ‘ধর্ষিতা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা সংশোধনের বিষয়ে অধিকার কর্মীদের দাবী দীর্ঘদিনের।
সাক্ষ্য আইনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্ত করা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাক্ষ্য আইনে কথা বলা হয়েছে। অ্যাভিডেন্স অ্যাক্ট যুগোপযোগী করার জন্য কাজ চলছে। আগামী সংসদে এটা আনতে পারবো। বিশেষ করে এটা হবে ভার্চুয়াল।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্য আইনে ভার্চুয়াল ট্রায়াল করার কোন সুযোগ নেই। কাশিমপুর এবং কেরানীগঞ্জ জেল থেকে আদালত ভার্চুয়ালি করতে পারে সেজন্য ব্যবস্খা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন আইনের পরিবর্তন করে এই সাক্ষ্য আইনে পরিবর্তন করার কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন