আট দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ভারত, নেপালসহ আট দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে ২০ দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নির্দেশনা পরিবর্তন করে সোমবার সার্কুলার জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়া-উল কবির স্বাক্ষরিত ওই সার্কুলারে ২০টি দেশকে ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপের দেশগুলো হচ্ছে- বতসোয়ানা, ভারত, মঙ্গলিয়া, নমিবিয়া, নেপাল, পানামা, সাউথ আফিকা, তিউনিসিয়া।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এ’ গ্রুপের দেশগুলো থেকে কোন বিদেশি নাগরিক দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।

গত ১ জুন ১১টি দেশকে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত করে সার্কুলার জারি করেছিল বেবিচক। ওই দেশগুলো হল- আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, উরুগুয়ে।

সোমবার নতুন নির্দেশনায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত ও নেপাল ছাড়া বাদ দেওয়া হয় বাকি নয়টি দেশের নাম। 

‘বি’ গ্রুপের দেশগুলো হচ্ছে- আজেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোষ্টারিকা, জর্জিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান,  সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, উরুগুয়ে। ‘বি’ গ্রুপের দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের দুই ডোজের ভ্যাকসিন নিতে হবে।

বেবিচকের ওই সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, যাত্রীদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বিদেশের ফ্লাইটে ওঠার আগেই হোটেল বুকিং করতে হবে, যা বোডিং কার্ড ইস্যুর সময় চেক করবে এয়ারলাইন্সগুলো। 

কুয়েত ও ওমান থেকে দেশে এলে তিনদিন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী  কুয়েত ও ওমান থেকে দেশে আসতে হলে করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। দেশে আসার পর তিনদিন হোটেলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এজন্য বিদেশ থেকে আসার আগেই হোটেল বুক করতে হবে। দেশে আসার তিনদিন পর যাত্রীদের করোনা টেস্ট করানো হবে (যাত্রীর খরচে)। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তারা বাকি ১১ দিন বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। ভ্যাকসিন দুই ডোজ নিলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।