নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড ট্রাফিক বক্সে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত নব্য জেএমবি’র দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ।

রোববার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। আজ সোমবার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তথ্য দেন।

গ্রেপ্তার দুইজন হলো- শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও খালিদ হাসান ভূইয়া ওরফে আফনান। তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম লাল রং এর বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, ৩টি বিউটেন গ্যাসের ক্যান, ১ সেট রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ৪ প্যাকেট ছোট সাইজের বিয়ারিং বল, ১০টি ক্রিসমাস বাল্ব, ২টি কালো রংয়ের ইলেকট্রিক টেপ, ১টি আইইডি তৈরির ম্যানুয়াল ও হামলায় ব্যবহৃত ১টি লাল রংয়ের পালসার মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সিটিটিসির প্রধান বলেন, নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান জন ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালী এর নির্দেশে গত ১৬ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড ট্রাফিকবক্সে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। ক্রটিপূর্ণ রিমোটের কারণে কয়েকবার চেষ্টা করেও বোমাটি বিস্ফোরণে ব্যর্থ হয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং রিমোটটি রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে সিটিটিসি’র বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

তিনি আরও জানান, মাহাদী হাসান জন এর নেতৃত্বে গ্রেপ্তার শফিকুর রহমান নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। গ্রেপ্তার শফিকুর ও খালিদ হাসান বোমা তৈরির ম্যানুয়াল ও ভিডিও দেখে বোমা তৈরির অনলাইন প্রশিক্ষক ফোরকানের তত্ত্বাবধানে আব্দুল্লাহ আল মামুনের কক্ষে হামলায় ব্যবহৃত আইইডি তৈরি করে।