- বাংলাদেশ
- পিয়াসার বাসা থেকে ইয়াবা, মদ, গাজার কলকি ও সিসা উদ্ধার
পিয়াসার বাসা থেকে ইয়াবা, মদ, গাজার কলকি ও সিসা উদ্ধার

কথিত মডেল মৌ ও পিয়াসা
রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে কথিত মডেল মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে ডিবি।
সোমবার পিয়াসার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় এবং মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে দেশি বিদেশি মদ, ৬শ' পিস ইয়াবা, গাজা ও সিসা সেবনের কলকি, ৮ লিটার বিয়ার উদ্ধার হয়েছে।
শুধু পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। প্যাকেটে ছিল মোট ৬শ' পিস ইয়াবা। এছাড়াও পিয়াসার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের এক পর্যায়ে পিয়াসার ফ্রিজ খুলে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল ও বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়া তার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোনও জব্দ করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
রোববার তাদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, মডেল পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
দুই মডেলকে আটকের পর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মডেল মৌ-এর বাসার নিচে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, তারা দুজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার।
মন্তব্য করুন