- বাংলাদেশ
- আগস্টেই অনুমোদন পাবে কয়েকটি আইপি টিভি: তথ্যমন্ত্রী
আগস্টেই অনুমোদন পাবে কয়েকটি আইপি টিভি: তথ্যমন্ত্রী

চলতি মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি আইপি টিভিকে অনুমোদন দেওয়া হবে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি জানিয়েছেন, ছয় শতাধিক আইপি টিভি সরকারের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছে। এখন সেসব যাচাই বাছাই চলছে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো আইপি টিভিকেই এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। রেজিস্ট্রেশন দেয়ার জন্য আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬শ’র কাছাকাছি আবেদন পড়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে খুব সহসা এ মাসের মধ্যেই আমরা কিছু আইপি টিভি অনুমোদন দেবো। আপনারা জানেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। নানা আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক সময় অভিযোগ আসে। সেই প্রেক্ষিতে সময়ে সময়ে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়।’
সম্প্রতি জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার ও এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করার পর তার মালিকানাধীন আইপি টিভি জয়যাত্রার অফিসও বন্ধ করে দেয় র্যা ব। র্যা ব জানিয়েছে, ওই আইপি টিভির কোনো ‘বৈধ কাগজপত্র ছিল না’।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে গত শুক্রবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে সড়ক, নৌপথে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতায় যাত্রীরা ট্রাক, পিকআপ, লঞ্চ বা সিএনজিতে গাদাগাদি করে ঢাকামুখী হয়েছেন।ঢাকাযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই না থাকায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংক্রমণের মধ্যে শ্রমিকদের ফের ঢাকায় নিয়ে আসায় সরকারের বিস্তর সমালোচনা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দায় দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেই সরকারের কাছে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সচিব বৈঠক করলেও সিদ্ধান্তটি কোনো ব্যক্তি বা সচিবের নয়। এটি সরকারেরই সিদ্ধান্ত। তবে গার্মেন্টস কারাখানার মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ঢাকায় অবস্থানরত বা ঢাকার আশেপাশে যে সমস্ত শ্রমিক আছে তাদের দিয়ে তারা আপাতত শুরু করবেন। কোনো কোনো গার্মেন্টস মালিক সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদেরও কাজে যোগদান করার জন্য ফোন করা হয়েছে। এখানেই বিভ্রান্তিটা হয়েছে।’
লকডাউনের মধ্যে কলকারখানা খুলে রাখার যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আমাদের অর্থনীতি অনেকটা গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল। কারণ রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ এখান থেকে আসে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর সেক্টর। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারা বা এক সপ্তাহ দেরি হলে অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। এটি ব্যাপক আকারে হলে দেশ অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই বিষয়টাও দেখতে হয় ব্যবসায়ী স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে।’
ইতোমধ্যেই গণটিকাদান শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এ বছরের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা আসবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সম্ভব হলে প্রতিমাসে এককোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে।রোডম্যাপ ঠিক করেই সরকার ব্যাপক হারে টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।’
হাছান মাহমুদ এদিন অভিযোগ করেন, বিএনপি পূর্বের ধারাবাহিকতায় এ নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানোর ‘অপচেষ্টা করছে’।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া মাসে এক কোটি টিকা দেয়ার ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তথ্যমন্ত্রীকে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা টিকা নিয়ে বরাবরই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা গবেষণায় অত্যন্ত সফল টিকা হিসেবে উঠে এসেছে, সেই টিকা নিয়েও তারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল যে এই টিকা দিলে বরং মানুষের স্বাস্থ্যহানি হবে। পরবর্তীতে তারা নিজেরাই আবার সেই টিকা নিয়েছেন। সুতরাং তারা আগে থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ধারাবাহিকতায়ই এই কথাগুলো বলছেন। একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বা একটি বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে বিভ্রান্তি ছড়ানো কখনো সমীচীন নয়।’
মন্তব্য করুন