৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট। তবে রিটকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, কততম বিসিএস থেকে, কীভাবে কতজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে- এটা সরকারের পলিসি মেকিংয়ের বিষয়। আমরা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না। সরকারের সংশ্নিষ্ট দপ্তরে কথা বলুন। চিকিৎসক নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে আপনারা তখন আদালতে আসতে পারেন।

সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মো. মশিউর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২৯ জুলাই ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ডা. রাফা মো. নুরুল ইসলামসহ এক হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্পূরক এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটকারীদের আইনজীবী মো. মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে তালিকাভুক্ত হন সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক। এর মধ্য থেকে প্রথম দফায় চার হাজার ৫৪২ চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল, এরা উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শূন্য পদ না থাকার কারণে তাদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা গেল না। পরে নিয়োগের রিকুইজিশন পাওয়া গেলে নন-ক্যাডার হিসেবে বিধিবিধান অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর গত বছর যখন করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেল, তখন আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি থাকে সাড়ে ছয় হাজার চিকিৎসক। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি নতুন করে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দেয় সরকার। তারপরই বলা হয়, নতুন এ নিয়োগ ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) থেকে নেওয়া হবে। এ কারণেই আমরা আদালতে আবেদন করেছি।