চিত্রনায়িকা পরীমণি গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব অভিযান চালায় কথিত প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায়। যিনি রাজ মাল্টিমিডিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। দাবি করা হয় এই প্রতিষ্ঠান থেকে নাটক সিনেমা প্রযোজনা করা হয়ে থাকে।

বুধবার রাতে বনানীর যে বাসা থেকে নজরুল রাজকে আটক করা হয় সেখান যৌন উত্তেজক সমাগ্রীসহ বিদেশি মদ, ইয়াবা বড়ি, সেক্স টয় উদ্ধার করা হয়। বিশেষ ধরনের একটি বিছানাও পাওয়া গেছে সেখানে। তার মোবাইল ফোনে অসংখ্য তরুণীর পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রাজকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, রাজ একেক সময় একেক পরিচয়ে চলাফেরা করেন। কখনও চিত্রপরিচালক, কখনও ব্যবসায়ী আবার কখনও রাজনীতিবিদ। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন।

নজরুল তার প্রতারণা ও পর্নো ব্যবসায় দুই তরুণীকে ব্যবহার করে আসছেন। এদের একজনের ডাক নাম সেমি এবং আরেকজন কাঁকন। দুজনই তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। এ দুই তরুণীকে দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কাজ করতেন বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, পাশ্চাত্য পোশাকে অভ্যস্ত সেমি এবং কাঁকনকে নিয়ে হাজির হতেন সরকারি কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাটে অথবা বাসায়। একপর্যায়ে অনেকেই তাদের প্রেমে পড়ে যেতেন। যে কোনো মূল্যে তাদের সান্নিধ্য পেতে চাইতেন।

এমন দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারি কাজ বা তদবিরের টোপ ফেলতেন নজরুল। কোটি টাকা ঘুসের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে তার কাজ হয়ে যেত। এছাড়া এ দুই তরুণীকে ব্যবহার করে তিনি ক্যাসিনো সম্রাট ইসমাইল চৌধুরীর কাছাকাছি পৌঁছে যান।

র‌্যাব জানিয়েছে, ঠিকাদারি কাজের ডন হিসাবে পরিচিত জিকে শামীমের সঙ্গেও তার সখ্য গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তিনি জিকে শামীমকে কারাগারে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে তদবির করছিলেন। শামীমের বোন সুবর্ণা মোস্তাফার সঙ্গে তিনি প্রতি সপ্তাহে নানা বিষয়ে শলা-পরামর্শ করেন।