দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১১ আগস্ট থেকে শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রোববার বিকেলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে বা পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই বিধিনিষেধ বাড়ানো হয় ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এই বিধিনিষেধ  এবার শিথিল করে দিলেও করোনা পরিস্থিতি কিন্তু দিন দিন খারাপই হচ্ছে। শনিবারও ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ১৩৬ জন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। আগের বিধিনিষেধ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল করা হয়েছে।

যা যা খুলছে:

১১ আগস্ট থেকে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

এছাড়া শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল আটটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে। এছাড়া আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে করতে হবে। গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।