- বাংলাদেশ
- পাকিস্তানি গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের নিন্দা
পাকিস্তানি গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের নিন্দা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গণমাধ্যমে ধারাবাহিক মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
রোববার সংগঠনের এক বিবৃতিতে প্রতিবাদন জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের জাতীয় শোকের মাসে কিংবা বিজয়ের মাসে পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সুকৌশলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এতে প্রতীয়মান হয়- বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের জনগণ কখনও পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চান নি, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সৈন্যরা কোনো গণহত্যা করেনি, পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের কারণে ভারত ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙেছে এবং ভারতীয় সৈন্য ও মুক্তিবাহিনী নির্বিচারে নিরীহ পাকিস্তানিদের হত্যা করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর আগস্ট মাসেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কখনও পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান নি। তার ৭ মার্চের অবিস্মরণীয় ভাষণসহ বেতার ও টেলিভিশনের কিছু ভাষণের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে এতে দেখানো হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানকে তিনি ‘ভাই’ বলছেন, ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছেন কিংবা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে- ‘৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শোচনীয় আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংবাদে বঙ্গবন্ধু নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানিদের বলেছিলেন, তিনি রেডিও টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে বাঙালিদের উদ্দেশে পাকিস্তানের অখণ্ডতার কথা বলবেন। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমের এহেন মিথ্যাচার ও ধৃষ্টাচারের প্রতি আমরা নিন্দা জানাই।’
বঙ্গবন্ধু কীভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন এবং এর পাশাপাশি পাকিস্তান নামক মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের প্রকৃত চেহারা নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ সমাজের আরও সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন (অবঃ) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন (অবঃ) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, সাবেক জাতীয় ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান,শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন