রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাম উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ  রোববার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

আতিকুর রহমান খান ২০০৪ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এমপিওভুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোনো পদ নেই। অবৈধভাবে এ পদ সৃষ্টি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গত ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

দেশের ১৫টি ব্যাংকে আতিকুরের ৯৭টি অ্যাকাউন্টে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১০ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৯২ টাকা লেনদেন হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানে অবৈধ ভর্তিসহ সব বাণিজ্যের হোতা গাজীপুর কালীগঞ্জের বাসিন্দা আতিকুর। তিনটি ক্যাম্পাসের প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর ড্রেস (পোশাক) তৈরি, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি সবই তার নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের কেনাকাটা, উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ সবই করেন আতিক। দরপত্রেও অংশ নেয় নামে-বেনামে তারই প্রতিষ্ঠান। গত ১২ বছরে প্রতিষ্ঠানে কয়েকশ' শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগই হয়েছে আতিকুরের মাধ্যমে।