বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গমাতার স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করে মঞ্চের নেতৃবৃন্দ। 

কর্মসূচীতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফলতার পিছনে বঙ্গমাতার ভূমিকা অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন তখন বঙ্গমাতা নিজের স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সতত প্রেরণাদায়ী বঙ্গমাতা একজন মহীয়সী নারী। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ অনুসরণ করে আমরা তরুণ প্রজন্মরা এগিয়ে যাবো। 

তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তানি অপশক্তির দোসররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকদের সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার হয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে ততোদিন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় বেঁচে থাকবেন।

কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাকসুদ হাওলাদার, শাহীন মাতবর, আনসার আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শের সম্রাট খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন স্বাধীনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।