
শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের নাজমা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা - মামুনুর রশিদ
ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের সুযোগে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইসলামপুরে গ্রামের বাড়ি যান জহিরুল ইসলাম। কয়েক দিনের মাথায় জ্বর আসে তার। সঙ্গে সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা। করোনার উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা না করে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে থাকেন। এরপর স্বজনরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন তিনি মারা যান।
স্বজনরা জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর জহিরুলের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হলেও এখনও ফল পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় তাদের ধারণা, জহিরুল করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
নমুনা পরীক্ষার ফল না পাওয়ায় করোনায় মৃত্যুর সরকারি তথ্যে জহিরুলের মৃত্যু তালিকাভুক্ত হয়নি। উপসর্গে মৃত্যুর তালিকায় তার নাম স্থান পেয়েছে। জহিরুলের মতো দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন। কিন্তু সরকারি মৃত্যুর হিসাবে তাদের নাম আসছে না। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এ পর্যন্ত কত মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তার হিসাবও ঠিকমতো রাখা হচ্ছে না।
হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে দেশে কত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন সমকাল তা জানার চেষ্টা করেছে। দেশের ২০ জেলার সিভিল সার্জন অফিস, জেলা সদর হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত জুলাই মাসেই করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই হাজার ৩৮৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর একই সময়ে এসব হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৯০২ জনের। করোনায় মৃত্যুর তুলনায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ২৫ শতাংশ বেশি। ঢাকার বাইরের তিনটি সরকারি হাসপাতালে করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী পাঁচজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর রোগীকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। রিপোর্ট পেতে চার-পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। অনেক রোগী এর আগেই মৃত্যুবরণ করেন। তাদের তথ্য উপসর্গে মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল, ওই রোগী করোনা আক্রান্ত ছিলেন, তখন তার মৃত্যুর তথ্য সংশোধন করা হয় না। আবার নমুনা সংগ্রহের আগে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার নামও উপসর্গে মৃত্যুর তালিকায় রাখা হয়। উপসর্গে মৃত্যুর ৫০ থেকে ৬০ ভাগই করোনা সংক্রমিত বলে এই চিকিৎসকদের ধারণা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ না করা এক ধরনের অবহেলা। স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশনা দিলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা মানতে বাধ্য হতো; কিন্তু সেটি করা হয়নি।
এর দায় স্বাস্থ্য বিভাগেরই।
তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষা না হওয়ায় উপসর্গ নিয়ে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়ে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এটি উদ্বেগের। দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে এটিও অন্যতম কারণ। পাশাপাশি প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যাও আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
ঢাকা মহানগরের ১৭টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৬ জন। উপসর্গ নিয়ে এ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৯৭ জনের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত জুলাই মাসে উপসর্গে মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সমকালকে বলেন, ঢামেকে দিনে গড়ে পাঁচ থেকে সাতজন করে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের পরীক্ষা করলে সবার করোনা পজিটিভ হবে, এমন নয়। হার্ট অ্যাটাক, কিডনি জটিলতা, ক্যান্সার, ফুসফুসের অন্য রোগের কারণেও শ্বাসকষ্ট হয়। তাদের বেশিরভাগ রোগীই জটিল অবস্থা নিয়ে আসায় নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসা শুরু করতে হয়। উপসর্গে এসব মৃতের মধ্যে ৬০ শতাংশেরই করোনায় মৃত্যু বলে ধারণা করি।
নমুনা পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে উপসর্গে মৃত্যু তেমন নেই বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরীক্ষার সুযোগ কম থাকায় উপসর্গে মৃত্যু থাকতে পারে। তবে বিএসএমএমইউর করোনা ইউনিটে ভর্তি হওয়া সব রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পুরো জুলাই মাসে উপসর্গে মৃত্যু দু-একজন থাকতে পারে।
ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলায় সম্মিলিত কোনো তথ্য নেই। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫১ এবং উপসর্গ নিয়ে ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে জুলাই মাসে করোনা সংক্রমিত হয়ে ৯৬ এবং উপসর্গ নিয়ে ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৯ জন, চাঁদপুরে ৪২, লক্ষ্মীপুরে ২৬, কুমিল্লায় ২৩৪ ও খাগড়াছড়িতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, জুলাই মাসে উপসর্গ নিয়ে নোয়াখালীতে ২৫ জন, চাঁদপুরে ১৩০, লক্ষ্মীপুরে ৩০, কুমিল্লায় ২৯৯ ও খাগড়াছড়িতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ জুলাই মাসে এই পাঁচ জেলায় করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন মোট ৩৬২ জন। এর বাইরে জেলাগুলোয় উপসর্গ নিয়ে ৫১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
খুলনা বিভাগের মেহেরপুর সদর হাসপাতালে করোনায় ৭৭ ও উপসর্গে ৭৩ জন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গে ১০০ জন করে, কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে করোনায় ৩০৫ ও উপসর্গে ৬০ এবং সাতক্ষীরাতে করোনায় ১১ ও উপসর্গে ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই চার জেলায় জুলাই মাসে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৪৯৩ এবং উপসর্গ নিয়ে ৩০৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া খুলনা জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এ সময়ে ৬৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরিশালে ৩০ জন, ঝালকাঠিতে ২৯ এবং ভোলায় আটজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঝালকাঠিতে ৩৩ ও ভোলায় ২৭ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জেলার সিভিল সার্জন অফিসগুলো। অধিদপ্তরের হিসাবে জুলাই মাসে বরিশাল বিভাগে যেখানে ১৬৩ জন মারা গেছেন, সেখানে দুই জেলা ও এক হাসপাতালেই উপসর্গ নিয়ে ৩৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায় জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮ জন। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, জুলাই মাসের ১৬ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ জন। অর্থাৎ জেলাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের প্রায় সমপরিমাণ মানুষ উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মাসের শেষ ১৬ দিনেই।
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১৩ ও উপসর্গ নিয়ে ৩০ এবং হবিগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ, জুলাই মাসে এ দুই জায়গায় করোনায় ২৬ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
জুলাই মাসে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮০ এবং বগুড়াতে ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে রামেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩২০ ও বগুড়ায় ২৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ, রামেক ও বগুড়ায় জুলাই মাসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫৬ জনের। এর বাইরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৫৯৮ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে একমাত্র ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া অন্য জেলাগুলোতে উপসর্গে মৃত্যু নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই হাসপাতালে গত জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ এবং উপসর্গ নিয়ে ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গে মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ হয় না: সমকালের বিভাগীয় অফিস ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ জেলাতেই উপসর্গে মৃত্যুর তথ্য রাখা হয় না। এসব জেলার সিভিল সার্জন অফিসগুলো জনবল সংকটের কথা বলছে।
অন্যদিকে উপসর্গ নিয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে না অধিকাংশ জেলায়। সিভিল সার্জন অফিসগুলো এ ক্ষেত্রে করোনা রোগীর চাপ, ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুসহ অনেক কারণ সামনে নিয়ে আসছেন। আবার কিছু জেলায় উপসর্গে মৃত্যুর একটি অংশের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, বাকিদের ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা করা হয় না।
রামেক কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী মারা গেলে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা পজিটিভ বা নেগেটিভ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হতো। কিন্তু এখন আর সেটি করা হয় না।
সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, সিলেট বিভাগের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি অনেকের করোনার উপসর্গ থাকে। ফলে ওসমানীতে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে করোনা পরীক্ষা হয় না।
উপসর্গে মৃত্যুর বড় একটি অংশই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। অতীতে চীন, ভারতসহ অনেক দেশেই করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে উপসর্গে মৃত্যু হওয়াদের মধ্য থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আলাদা করে মোট মৃত্যুর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। তবে উপসর্গে মৃত্যুর হিসাব রাখা না হলে করোনায় মৃত্যুর তথ্য হালনাগাদ করা বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন সমকালকে বলেন, উপসর্গে মৃত্যুর ৭০ থেকে ৮০ ভাগই সাধারণত করোনা 'পজিটিভ' রোগী থাকে। তবে এমন অনেক রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আসেন, যারা করোনা আক্রান্ত নন। হার্ট অ্যাটাক, অ্যাজমাসহ অনেক কারণেই রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমন রোগীদের অনেকেই আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এমন রোগীর পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে যারা মারা যান তাদের মৃত্যুর হিসাব করোনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না বলে স্বীকার করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি সমকালকে বলেন, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা সবাই করোনা সংক্রমিত নন। তবে কেউ কেউ থাকতে পারেন।
মন্ত্রীর ভাষ্য, উপসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালে গেলে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পজিটিভ এলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর করোনার নেগেটিভ হলে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগেই কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাদের মৃত্যুর হিসাব করোনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সমকালের সিলেট ব্যুরোপ্রধান চয়ন চৌধুরী, খুলনা ব্যুরোপ্রধান মামুন রেজা, রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান সৌরভ হাবিব, বরিশাল ব্যুরোপ্রধান পুলক চ্যাটার্জি, চট্টগ্রাম ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক শৈবাল আচার্য্য, রংপুর অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক মেরিনা লাভলীসহ সংশ্নিষ্ট জেলা প্রতিনিধিরা)।
মন্তব্য করুন