- বাংলাদেশ
- এখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় কাশেমের
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৭ বছর
এখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় কাশেমের

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত আইভি রহমানকে উদ্ধারে এগিয়ে যান আবুল কাশেম। ইনসেটে তার বর্তমান ছবি- সংগৃহীত
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট স্মরণকালের নৃশংসতম গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর আঙিনায় দাঁড়িয়ে হতবিহ্বল সবার মতো আবুল কাশেমেরও একটিই জিজ্ঞাসা ছিল- 'বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোথায়? তিনি বেঁচে আছেন তো!' পরে তার কানেও এলো খবরটি- 'অলৌকিক-ভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।'
রক্তাক্ত প্রান্তরে আবুল কাশেম পড়ে থাকতে দেখেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানকে। গ্রেনেডের স্প্নিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত তার শরীর তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন। আরেকজনের সহায়তা নিয়ে আইভি রহমানকে ধরে কিছুটা দূরে সরিয়ে আনেন আবুল কাশেম। আর চিৎকার করে বলতে থাকেন, 'আইভি আপাকে হাসপাতালে নিতে হবে।' কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন। গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত আইভি রহমানকে ধরে থাকা কাশেমের সেই ছবিটি এখন পরিণত হয়েছে ওই ঘটনার অন্যতম প্রতীকী ছবিতে।
বিভীষিকাময় সেই গ্রেনেড হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কাশেমকে এখনও তাড়া করে ফেরে সেই মর্মন্তুদ স্মৃতি। কখনও কখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। ভয়াল সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আইভি রহমানের সেই নির্বাক চাহনি তাকে কাঁদায়। আবুল কাশেম এখনও ওই ঘটনার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। সেইসঙ্গে গ্রেনেড হামলাকারীদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
গ্রেনেড হামলার সময়ে আবুল কাশেম ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এখন তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। থাকেন গুলশানের শাহজাদপুরে। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের গঙ্গাপুর গ্রামে।
আবুল কাশেমের ভাষায়, সেদিনের বিকেলে কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরমের আভা থাকলেও দিনের পড়ন্ত বেলায় সূর্যের তেজ আস্তে-ধীরে কমতে শুরু করেছিল। তার পরও সমবেত সবার মতো তিনিও ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়েছিলেন। তাই বলে মুক্তিকামী মানুষের সরব উপস্থিতি কম হয়নি। শান্তিপ্রিয় অসংখ্য মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে ছিল ঠাসা। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ। ওই ভাষণের শেষের দিকে ঠিক বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ম্ফোরণ ঘটে। শুরু হয় আকস্মিক মৃত্যুর আস্ম্ফালন। রক্তস্রোতে ভেসে যায় অসংখ্য মানুষ। চারদিকে মানবদেহের ছিন্নভিন্ন টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে।
একজন ফটোসাংবাদিকের অনুরোধে গ্রেনেড হামলার আগমুহূর্তে আরও কিছুক্ষণ ভাষণ দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। তারপর সেই নৃশংসতা। খোলা ট্রাকমঞ্চ থেকে নেমে এসে সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি মিছিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতির সময় বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ম্ফোরিত হয় ১৩টি তাজা গ্রেনেড। আওয়ামী লীগ সভাপতির বুলেটপ্রুফ গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে আসে ১২টি গুলি। এতেই চারপাশে রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। খানিক আগের জীবন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। রক্তে লাল হয়ে যায় পিচঢালা কালো রাজপথ। বীভৎস ওই গণহত্যার পরমুহূর্তে ঘটনাস্থলে হাত-পাসহ মানবদেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। ফিনকি দিয়ে মানবদেহ থেকে বেরিয়ে আসছিল রক্তস্রোত।
খোলা ট্রাকের চারপাশে এবং চেয়ারের ওপরও ছিল ছোপ ছোপ রক্ত। কমবেশি সবাই আহত হয়ে স্তূপাকারে মাটিতে পড়েছিলেন। শত শত মানুষ মরণযন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন। চারদিকে ধ্বংসযজ্ঞ, আহাজারি। ছড়িয়ে ছিল অসংখ্য জুতা-স্যান্ডেল, ব্যানার-ফেস্টুন এবং অবিস্ম্ফোরিত গ্রেনেড। বেঁচে থাকার জন্য মুমূর্ষুদের আকুতি, কাতর গোঙানি, আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক দৃশ্য।
আবুল কাশেম বলেন, নির্মম ওই ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা ও নির্মমতা ভাষায় অবর্ণনীয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থাও ছিল না। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে না পারায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। অনেকে প্রাণভয়ে দিজ্ঞ্বিদিক ছোটাছুটি করছিলেন। প্রিয় মানুষের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কারণে রিকশা-ভ্যানে, এমনকি ঠেলাগাড়িতে করে আহতদের নেওয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। আহতদের উদ্ধারে পুলিশের কোনো তৎপরতা ছিল না। উল্টো কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনী বেধড়ক লাঠিচার্জ ও অবিরাম টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছিল।
গ্রেনেড হামলার সময় শেখ হাসিনার গাড়ির পাশেই ছিলেন আবুল কাশেম। হামলার সময় তিনি প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকা মানুষের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। ভিড়ের চাপে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে মাড়িয়ে ছোটাছুটি করেছেন অসংখ্য মানুষ। কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে নিয়েই শেখ হাসিনার খবর জানতে চান। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে ধরাধরি করে তার গাড়িতে তুলে দেন। এমন সময় তার চোখে পড়ে, রাস্তায় পড়ে আছেন আইভি রহমান। মুহূর্তেই ছুটে যান তার কাছে। নাকে হাত দিয়ে বুঝতে চান, নিঃশ্বাস আছে কিনা? বেঁচে আছেন কিনা মিছিলের প্রিয়মুখ আইভি রহমান। জাতীয় নেতা হওয়ার পরও কর্মীদের প্রিয় আইভি রহমান কখনোই মঞ্চে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বসতেন না। গ্রেনেড হামলার দিনেও তিনি ছিলেন কর্মীদের সারিতে। আবুল কাশেম বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা আইভি রহমান অন্যদের মতো ট্রাকমঞ্চে গেলে হয়তো বেঁচে যেতেন। কিন্তু সেটা হয়নি। কর্মীবান্ধব আইভি রহমান জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন। ২৪ কর্মীর সঙ্গে তিনিও চলে গেছেন না-ফেরার দেশে।
রক্তাক্ত প্রান্তরে আবুল কাশেম পড়ে থাকতে দেখেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানকে। গ্রেনেডের স্প্নিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত তার শরীর তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন। আরেকজনের সহায়তা নিয়ে আইভি রহমানকে ধরে কিছুটা দূরে সরিয়ে আনেন আবুল কাশেম। আর চিৎকার করে বলতে থাকেন, 'আইভি আপাকে হাসপাতালে নিতে হবে।' কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন। গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত আইভি রহমানকে ধরে থাকা কাশেমের সেই ছবিটি এখন পরিণত হয়েছে ওই ঘটনার অন্যতম প্রতীকী ছবিতে।
বিভীষিকাময় সেই গ্রেনেড হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কাশেমকে এখনও তাড়া করে ফেরে সেই মর্মন্তুদ স্মৃতি। কখনও কখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। ভয়াল সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আইভি রহমানের সেই নির্বাক চাহনি তাকে কাঁদায়। আবুল কাশেম এখনও ওই ঘটনার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। সেইসঙ্গে গ্রেনেড হামলাকারীদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
গ্রেনেড হামলার সময়ে আবুল কাশেম ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এখন তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। থাকেন গুলশানের শাহজাদপুরে। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের গঙ্গাপুর গ্রামে।
আবুল কাশেমের ভাষায়, সেদিনের বিকেলে কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরমের আভা থাকলেও দিনের পড়ন্ত বেলায় সূর্যের তেজ আস্তে-ধীরে কমতে শুরু করেছিল। তার পরও সমবেত সবার মতো তিনিও ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়েছিলেন। তাই বলে মুক্তিকামী মানুষের সরব উপস্থিতি কম হয়নি। শান্তিপ্রিয় অসংখ্য মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে ছিল ঠাসা। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ। ওই ভাষণের শেষের দিকে ঠিক বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ম্ফোরণ ঘটে। শুরু হয় আকস্মিক মৃত্যুর আস্ম্ফালন। রক্তস্রোতে ভেসে যায় অসংখ্য মানুষ। চারদিকে মানবদেহের ছিন্নভিন্ন টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে।
একজন ফটোসাংবাদিকের অনুরোধে গ্রেনেড হামলার আগমুহূর্তে আরও কিছুক্ষণ ভাষণ দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। তারপর সেই নৃশংসতা। খোলা ট্রাকমঞ্চ থেকে নেমে এসে সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি মিছিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতির সময় বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ম্ফোরিত হয় ১৩টি তাজা গ্রেনেড। আওয়ামী লীগ সভাপতির বুলেটপ্রুফ গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে আসে ১২টি গুলি। এতেই চারপাশে রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। খানিক আগের জীবন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। রক্তে লাল হয়ে যায় পিচঢালা কালো রাজপথ। বীভৎস ওই গণহত্যার পরমুহূর্তে ঘটনাস্থলে হাত-পাসহ মানবদেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। ফিনকি দিয়ে মানবদেহ থেকে বেরিয়ে আসছিল রক্তস্রোত।
খোলা ট্রাকের চারপাশে এবং চেয়ারের ওপরও ছিল ছোপ ছোপ রক্ত। কমবেশি সবাই আহত হয়ে স্তূপাকারে মাটিতে পড়েছিলেন। শত শত মানুষ মরণযন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন। চারদিকে ধ্বংসযজ্ঞ, আহাজারি। ছড়িয়ে ছিল অসংখ্য জুতা-স্যান্ডেল, ব্যানার-ফেস্টুন এবং অবিস্ম্ফোরিত গ্রেনেড। বেঁচে থাকার জন্য মুমূর্ষুদের আকুতি, কাতর গোঙানি, আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক দৃশ্য।
আবুল কাশেম বলেন, নির্মম ওই ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা ও নির্মমতা ভাষায় অবর্ণনীয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থাও ছিল না। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে না পারায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। অনেকে প্রাণভয়ে দিজ্ঞ্বিদিক ছোটাছুটি করছিলেন। প্রিয় মানুষের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কারণে রিকশা-ভ্যানে, এমনকি ঠেলাগাড়িতে করে আহতদের নেওয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। আহতদের উদ্ধারে পুলিশের কোনো তৎপরতা ছিল না। উল্টো কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনী বেধড়ক লাঠিচার্জ ও অবিরাম টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছিল।
গ্রেনেড হামলার সময় শেখ হাসিনার গাড়ির পাশেই ছিলেন আবুল কাশেম। হামলার সময় তিনি প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকা মানুষের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। ভিড়ের চাপে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে মাড়িয়ে ছোটাছুটি করেছেন অসংখ্য মানুষ। কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে নিয়েই শেখ হাসিনার খবর জানতে চান। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে ধরাধরি করে তার গাড়িতে তুলে দেন। এমন সময় তার চোখে পড়ে, রাস্তায় পড়ে আছেন আইভি রহমান। মুহূর্তেই ছুটে যান তার কাছে। নাকে হাত দিয়ে বুঝতে চান, নিঃশ্বাস আছে কিনা? বেঁচে আছেন কিনা মিছিলের প্রিয়মুখ আইভি রহমান। জাতীয় নেতা হওয়ার পরও কর্মীদের প্রিয় আইভি রহমান কখনোই মঞ্চে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বসতেন না। গ্রেনেড হামলার দিনেও তিনি ছিলেন কর্মীদের সারিতে। আবুল কাশেম বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা আইভি রহমান অন্যদের মতো ট্রাকমঞ্চে গেলে হয়তো বেঁচে যেতেন। কিন্তু সেটা হয়নি। কর্মীবান্ধব আইভি রহমান জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন। ২৪ কর্মীর সঙ্গে তিনিও চলে গেছেন না-ফেরার দেশে।
মন্তব্য করুন