মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম মুক্ত বিহঙ্গের মতো উন্মুক্ত দিগন্তে বিচরণ করে মতামত প্রকাশ করছে। এখন দাপ্তরিকভাবে কোথাও কোনো সংবাদ সেন্সর করা হয় না। এর অর্থ শেখ হাসিনা চান গণমাধ্যম বিকশিত হোক। গণমাধ্যম বিকশিত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

শুক্রবার পিরোজপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালে (দ্বিতীয় পর্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিসর বাড়িয়েছেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এ বেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। করোনা সংকটের মধ্যে সাংবাদিকদের জীবন বাজি রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কঠিনকে ভালোবাসার নাম সাংবাদিকতা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সংবাদমাধ্যমের গলাটিপে ধরার প্রবণতায় বিশ্বাস করে না। সংবাদমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। আমি নিজেকে সংবাদমাধ্যমের অংশ মনে করি। আমি যতদিন এমপি-মন্ত্রী আছি, শুধু ততদিন না বরং সাধারণ মানুষ হিসেবে সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আন্তরিকতা, মমতা ও ভাতৃত্বের বন্ধন রক্ষা করব।

কাউকে ছোট করার জন্য নিউজ করার চেয়ে বস্তুনিষ্ঠ নিউজ করা অনেক প্রয়োজন বলে এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী। শ ম রেজাউল করিম এও বলেন, দেশের উন্নয়নে, শান্তি সুপ্রতিষ্ঠায় সামাজিক বলয়কে শিষ্টাচারপূর্ণ রাখার জন্য সবাইকে দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী।

এর আগে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা কারাগার আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন মন্ত্রী।