বরিশালে কোহিনুর বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামী মোস্তফা সরদারকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কার্যকারিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। 

আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সোমবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো.বশির উল্লাহ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে আসামি মোস্তফা সরদার প্রথম স্ত্রী কোহিনুর বেগমের অনুমতি ছাড়াই একই এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বুলু বেগমকে বিয়ে করেন। অথচ তার প্রথম সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। 

এ নিয়ে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে এক পর্যায়ে মোস্তফা সরদারের চৌচালা ঘরের মাচার আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কোহিনুরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। 

পরে এ ঘটনায় করা মামলায় ওই বছরের ৩১ মে মোস্তফা সরদারসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গৌরনদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল খলিফা। 

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোস্তফা সরদারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২০১ ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। 

এছাড়াও মোস্তফার দ্বিতীয় স্ত্রী বুলু বেগম ও তার আগের স্বামী লাল মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। 

পরে আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিও আপিল করেন। 

এরপর ওই ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামির আপিল মঞ্জুর করে ২৭ জুন মোস্তফা সরদারকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।