- বাংলাদেশ
- জুলহাজ-তন্ময় হত্যা মামলার রায় ৩১ আগস্ট
জুলহাজ-তন্ময় হত্যা মামলার রায় ৩১ আগস্ট

সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলার রায় ঘোষনার জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আলোচিত এ দিন নির্ধারণ করেন।
এ দিন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। কারাগারে থাকা চার আসামির পক্ষে আইনজীবী নজরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম লিটন এবং পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী মো. জাকির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, আদালত তাদের সর্বোচ্চ সাজা দেবেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তারা খালাস পাবেন।’
গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন-সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম চার জন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। পরের চারজন কারাগারে আছেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্নিষ্ঠ থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন।
নিহত জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল অফিসার ছিলেন। নিহত তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর ২০১৯ সালের ১২ মে সেনাবাহিনী থেকে বহিস্কৃত মেজর জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল। জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন