অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনের সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলোর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন সহসভাপতি রাশেদ খান, ইয়াতুনেসা রুমা, সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল মোতালেব বলেন, গত বছর করোনা মহামারির শুরু থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেমিস্টার ফি মওকুফ, শতভাগ শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি সহায়তা ও বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সরকারের দিক থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া প্রায় সবসময়ই উপেক্ষিত হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে দেড় বছরের বেশি সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুই থেকে তিন বছরের সেশনজট তৈরি হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে। এমন সময়ে সরকার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে কেবল গত বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের জন্য ২১ মাস চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দায়সারা মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

এ সময় তিনি তাদের দাবি না মানা হলে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি এবং ওই দিন সারাদেশের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীন আহমেদ; সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, সদস্য এস এম মাইনুল সাগর প্রমুখ।