- বাংলাদেশ
- ভালুকার বনভূমি রক্ষার ব্যর্থতা নিয়ে রুল হাইকোর্টের
ভালুকার বনভূমি রক্ষার ব্যর্থতা নিয়ে রুল হাইকোর্টের

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বন আইনের অধীন প্রজ্ঞাপিত বনভূমির রেকর্ড ও রক্ষায় ব্যর্থতা এবং তা জেলা প্রশাসক ও ব্যক্তির নামে রেকর্ড কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রজ্ঞাপিত বনভূমির মধ্যে ২৪টি মৌজার সিএস রেকর্ড অনুযায়ী পুনঃজরিপের মাধ্যমে বনভূমি হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্নিষ্ট ১৮ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ময়মনসিংহ বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ভালুকা উপজেলাধীন ৩০টি মৌজায় বন আইন, ১৯২৭ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপিত সিএস দাগে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৮ একর। প্রজ্ঞাপিত এ বনভূমির মধ্যে বন আইনের ৪ ও ৬ ধারায় ঘোষিত বনভূমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৭২৬ একর এবং ২০ ধারায় সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ ৯ হাজার ৩৫১ একর।
পরবর্তী সময়ে বিআরএস জরিপে উল্লিখিত ২৩ হাজার ৭৮ একর বনভূমির মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ২২৬ একর বনভূমি বন বিভাগের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। অবশিষ্ট বনভূমির ৮ হাজার ৭ একর জেলা প্রশাসকের, ৪ হাজার ৬৬১ একর ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয় এবং অবশিষ্ট ৩ হাজার ১৮১ একর বনভূমির তথ্য রেকর্ডবহির্ভূত থেকে যায়। এ কারণে উল্লিখিত ৩০টি মৌজায় বিদ্যমান ২৩ হাজার ৭৮ একর বনভূমি রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য 'বেলা' রিটটি করে।
রুলে যে ২৪টি মৌজার উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- হবিরবাড়ি, জামিরদিয়া, কাশরগড়, মনোহরপুর, মেহেরাবাড়ি, বাশিল, ধামশুর, ঝালপাজা, কাঠালি, কাদিগড়, পালগাঁও, পাড়াগাঁও, মল্লিকবাড়ি, সাতেঙ্গা, নারাঙ্গী, হাতিবর, কৈয়াদি, চামিয়াদি, মর্চি, পানিহাতি, আঙ্গারগাড়া, ডাকাতিয়া, চাঁদপুর ও হোসেনপুর।
মন্তব্য করুন