- বাংলাদেশ
- টিকা নিয়েও কোরিয়ায় যেতে পারছেন না ৮৬২ বাংলাদেশি
টিকা নিয়েও কোরিয়ায় যেতে পারছেন না ৮৬২ বাংলাদেশি

ছবি: ফাইল
কাজের বৈধ কাগজপত্র এবং করোনাভাইরাসের (কভিড) দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েও দক্ষিণ কোরিয়া পুনঃপ্রবেশ বা রি-এন্ট্রি পাচ্ছেন না ৮৬২ জন বাংলাদেশি। তিন মাসের ছুটিতে দেশে এসে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত তারা কোরিয়ায় প্রবেশ করতে পারেননি। কাজে ফিরতে প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের কোরিয়া দূতাবাস, বোয়েসেলসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন, সময়মতো যেসব শ্রমিক কোরিয়া প্রবেশ করতে পারেননি তাদের জায়গায় অন্য দেশের কর্মী নিয়োগ করছে কারখানা মালিকরা। ফলে প্রতিদিনই চাকরি হারাচ্ছে বাংলাদেশের কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এমএস আলী। বক্তব্য দেন বতীন্দ্র কুমার দে ও মৃদুল সোম।
আলী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় অন্য কোনো বৈধ উপায়ে চাকরির অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। উচ্চ বেতন, কাজে নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে দেশটির শ্রমবাজার আমাদের কাছে একটি সোনার হরিণ। একমাত্র ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে লটারি, ভাষা পরীক্ষা ও বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করতে হয়।
তিনি জানান, ইপিএস আইন অনুযায়ী কোরিয়া প্রবেশ করে একই কোম্পানিতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করার পর বাধ্যতামূলক তিন মাসের ছুটিতে দেশে আসতে হয়। তারপর আবার ওই কোম্পানিতে পুনরায় প্রবেশ করা যায়। করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে রি-এন্ট্রি কর্মীদের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে কোরিয়ার সরকার। একই বছর মে মাসে নিয়মিত ছুটি শেষ করে কোরিয়ায় প্রবেশ করা ১১ জন কর্মীর মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়ার ফলে দেশটির সরকার বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। তা সত্ত্বেও রি-এন্ট্রির একজন কর্মীও কোরিয়া প্রবেশ করতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রত্যেকেই তারা কভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। তারা যে কোনো শর্তে কোরিয়া প্রবেশ করতে রাজি।
মন্তব্য করুন