মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের নানা স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে দেশের পাঁচ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।  

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পাবনা,মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে। 

আগামী একদিনে পদ্মা নদী ভাগ্যকূল পয়েন্টে ও শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র,যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলম ও তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ের প্রদেশের স্থানগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এতে বর্ণিত সময়ে এই অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, আপারা মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার, সুরেশ্বর পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, গড়াই নদীর পানি কামারখালী পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার, মথুরা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।